নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া থেকে ভারতকে বাঁচাতে কতটা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সঠিক সময়কাল নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু এবার বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ রুখতে অন্য দেশগুলির তুলনায় কড়াকড়ির নিরিখে অনেকটা এগিয়ে গেল ভারত। 'গ্লোবাল স্ট্রিনজেন্সি ইনডেক্স' (Global Stringency Index) বা 'বিশ্ব কঠোর ব্যবস্থা সূচক'-এর তালিকায় পয়লা এপ্রিলে ৫৮ নম্বরে ছিল ভারত। ৩০ এপ্রিল তা উঠে এসেছে ৭৪ নম্বরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কোভিড-২-তে খান ডার্ক চকোলেট, ওটস, ডিম; করুন যোগব্যায়ামও--পরামর্শ কেন্দ্রের


ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ লকডাউন (Lockdown) বা কড়া কারফিউ (Curfew) এলাকার আওতায় পড়ছেন। অক্সফোর্ড করোনাভাইরাস গভর্নমেন্ট রেসপন্স ট্র্যাকারের তৈরি এই সূচকে ভারতের পয়েন্ট বৃদ্ধির কারণ অবশ্যই ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে স্থানীয় সরকারের লকডাউন ঘোষণা বা কড়া কারফিউ। স্কুল-কলেজ থেকে অফিস-কাছারির বন্ধ হয়ে যাওয়া, জনসমাবেশ বাতিলকরণ, আন্তঃরাজ্য বা বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করা, ঘরে থাকার কড়া নির্দেশ ইত্যাদির নিরিখে এই সূচক অতিমারির শুরু থেকেই প্রস্তুত করছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: করোনা আবহে চোখ রাঙাচ্ছে 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস', কীভাবে বাঁচবেন?


একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোথায় কোথায় লকডাউন ও কারফিউ চলছে। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের (Corona Second Wave) বাড়বাড়ন্তকে কাবু করতে পূর্ণ লকডাউনের পথে হেঁটেছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা থেকে ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কেরল, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু ও রাজধানী দিল্লি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চন্ডীগড়। সোজাসুজি লকডাউনের পথে না হেঁটে আংশিক লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, নাগাল্যান্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাঞ্চল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি।