ফের নয়া আবিষ্কার ‘থ্রি ইডিয়টস’-র ‘ফুংসুখ ওয়াংড়ু’-র, তা দেখে মুগ্ধ মাহিন্দ্রা কর্ণধার
থ্রি ইডিয়টস সিনেমার ফুংসুখ ওয়াংড়ুর কথা নিশ্চিয়ই মনে আছে? সোনম ওয়াংচুককে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছিল ৩ ইডিয়টস সিনেমার ওই চরিত্র। তাহলেই বুঝতে পারছেন, উদ্ভাবনী ভাবনা তাহলে কোন পর্যায় পৌঁছতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এই প্রতিষ্ঠানে ব্যর্থ পড়ুয়ারাই সুযোগ পায়। যখন প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনা শেষ করে তাঁরা বেরন, কেউ চিত্র পরিচালক, কেউ সমাজ সংস্কারক, কেউ বা বড় আমলা হয়েছেন। ছক ভাঙা অধ্যায়ন, আর নতুন নতুন সৃষ্টির খোঁজই ওই প্রতিষ্ঠানের মূল পাঠ্যসূচি। এই স্কুলের গুরু হলেন, সোনম ওয়াংচুক। চিনলেন না তো!
থ্রি ইডিয়টস সিনেমার ফুংসুখ ওয়াংড়ুর কথা নিশ্চিয়ই মনে আছে? সোনম ওয়াংচুককে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছিল ৩ ইডিয়টস সিনেমার ওই চরিত্র। তাহলেই বুঝতে পারছেন, উদ্ভাবনী ভাবনা তাহলে কোন পর্যায় পৌঁছতে পারে।
আরও পড়ুন- জম্মু ও কাশ্মীরে লাগু হল রাষ্ট্রপতি শাসন
মাহিন্দ্রা জিপ দিয়ে অভিনব ঘর বানিয়ে ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন লাদাখবাসী সোনম ওয়াংচুক। এমনকি তাঁর এই কাজে মুগ্ধ হয়ে টুইট করেন খোদ মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। কী বানিয়েছেন তিনি?
A friend sent these pics from Sonam Wangchuk’s Himalayan Institute of Alternatives,Ladakh.Recycling a Mahindra car into a home roof.A way of life at the Institute, where nothing gets discarded.Well this will compete with our auto-shredding venture but it’s far more creative! pic.twitter.com/p7UwgOvtxD
— anand mahindra (@anandmahindra) December 14, 2018
Dear Mr @anandmahindra the Jeep you tweeted has a lovely story. It was instrumental in educational campaigns in the remotest frontiers of Ladakh... which finally took the matriculation results from 5% to 75%. It served us faithfully between 1997 to 2007 before taking new avatara. pic.twitter.com/N9ejsphOjQ
— Sonam Wangchuk (@Wangchuk66) December 17, 2018
লাদাখের তাপমাত্রা প্রায়শই থাকে শূন্য ডিগ্রির নীচে। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই ওখানকার বাসিন্দাদের নিত্যদিনের। ওয়াংচুকের বিদ্যালয় হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অব অলটারনেটিভসের পডুয়াদের ক্যাম্পাসের ছাদ বানানো হয়েছে পরিত্যক্ত মাহিন্দ্রা জিপ দিয়ে। যা দেখে অভিভূত আনন্দ মাহিন্দ্রা। তিনি টুইটে বলেন, মাহিন্দ্রা গাড়িকে পুর্নব্যবহার করে এ ভাবে ঘরের ছাদ বানানোয় ভীষণ আনন্দ পেলাম। এই প্রতিষ্ঠানে জীবনকে অন্যভাবে দেখা হয়, যেখানে কোনও কিছুই ফেলনা নয়। তাঁর উত্তরও দিয়েছেন সোনম ওয়াংচুক। টুইটারে তাঁদের বার্তালাপে মুগ্ধ নেটিজেনরাও। বলে রাখি, বরফ দিয়ে কৃত্রিম হিমাবহ তৈরি করে লাদাখের জীবনযাত্রা পাল্টে দিয়েছেন ৫২ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ার সোনম ওয়াংচুক।