নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিন মুখ্য়মন্ত্রী হবেন। ৩০ বছর আগে স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়াকে(Riniki Bhuyan) এই ভবিষ্য়ৎবাণী শুনিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himanta Biswa Sarma)। বর্তমানে যিনি অসমের(Assam) ১৫তম মুখ্য়মন্ত্রী।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩০ বছর আগের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে রিনিকি ভুঁইয়া(Riniki Bhuyan) বলেন, "ভবিষ্য়ৎ নিয়ে বরাবরই হিমন্তের খুব স্পষ্ট ধারনা ছিল। আগামিদিনে কী করবেন, তা ওঁর আগেই ভাবা ছিল। ২২ বছর বয়সে হিমন্ত গুয়াহাটির কটন কলেজে পড়তেন। সেদিন আমাকে হিমন্ত যা বলেছিলেন, তাই আজ সত্য়ি হয়েছে।" হিমন্তপত্নী আরও বলেন, "৯ মে বাড়ি ফিরে উনি আমাকে জানান মুখ্য়মন্ত্রী হয়েছেন। আমি প্রশ্ন করি কে? উনি বলেন, আমি।" ৩০ বছর আগে হিমন্ত তাঁকে যে কথা বলেছিলেন, আজ সেই কথাই যে সত্য়ি হয়েছে, এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না রিনিকি ভুঁইয়া(Riniki Bhuyan)। তিনি বলেন, "যখন আমাদের বিয়ে হয়, তখন হিমন্ত একজন বিধায়ক ছিলেন। তারপর মন্ত্রী হন। এখন উনি অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সমস্তটা বুঝে উঠতে আমার একটু সময় লাগবে।"     


আরও পড়ুন: Rose-tinted চশমাটা খুলে দেখুন; দেশের তীব্র কোভিড সঙ্কট নিয়ে মোদীকে কড়া আক্রমণ রাহুলের


ছাত্রাবস্থা থেকেই হিমন্ত বিশ্বশর্মার(Himanta Biswa Sarma) সঙ্গে রাজনীতির যোগ। প্রথমে তিনি অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন(AASU)-এর সদস্য় ছিলেন। কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা অসমের তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা হিতেশ্বর সাকিয়ার নজরে পড়েন। ১৯৯৪ সালে ছাত্রদের উন্নয়নের জন্য় তৈরি রাজ্য়ের একটি পরামর্শদাতা কমিটির সেক্রেটারি হন হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himanta Biswa Sarma)। সেই কমিটির দায়িত্ব নিয়ে রাজ্য়ের যুবদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদক্ষেপ নেন তিনি। 


আরও পড়ুন:  সমুদ্রের গভীরে work out! ভারতীয় যুবকের ভাইরাল ভিডিও


১৯৯৬ সালে জালুকবাড়ি কেন্দ্র থেকে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন লড়েন হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himanta Biswa Sarma)। পরাজিত হন। তবে ২০০১ সালে সেই জালুকবাড়ি কেন্দ্র থেকেই জয়ী হন। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত সেখান তাঁর জয়ের ধারা অব্য়হত রয়েছে। প্রতি নির্বাচনে বেড়েছে জয়ের মার্জিন। ২০০১-এ তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ১০ হাজার ১৯। ২০২১-এ তা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার, ৯১১। ২০১৫ পর্যন্ত কংগ্রেসের(Congress) সদস্য় ছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তবে ২০১৬ সালে বিজেপি(BJP)-তে যোগ দেন। সেই বছরই অসমে ক্ষমতায় আসে বিজেপি এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হন। পাশাপাশি, তাঁকে নর্থ-ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্য়ালায়েন্সের(NEDA) কনভেনারও করা হয়।