নিজস্ব প্রতিবেদন- হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশের পুলিস-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে নির্যাতিতার মৃতদেহ দাহ করেছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিস। এমনকী বাড়ির লোকজনদেরও ১৯ বছর বয়সী মেয়েটির মুখ শেষবারের জন্য দেখতে দেয়নি পুলিস-প্রশাসন। এরপর নির্যাতিতার গ্রামে কারও প্রবেশে বাধা দিয়েছিল পুলিস। সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কাউকেই নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দলিত পরিবারটির তরফে দাবি করা হয়েছিল, পুলিস-প্রশাসন তাঁদের হুমকি দিচ্ছে। জেলাশাসক বাড়িতে এসে বারবার বয়ান বদলের জন্য চাপ দিচ্ছেন। এসব কিছুর জন্যই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এক শ্রেণীর মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে যোগীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিলেন আশিস কনোজিয়া নামের এক যুবক। তিনি দিনদুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, অনলাইন শপিং করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়িতে তিনি একটি আপত্তিকর জিনিস পাঠাবেন। যেমন বলা তেমনই কাজ। সেই যুবক সত্যিই অনলাইনে একটি আপত্তিকর জিনিস কিনে যোগী আদিত্যনাথের সরকারি আবাসনের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। যদিও যোগীর বাড়িতে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা গেটের সামনেই সেই জিনিস আটকে দেন।


আরও পড়ুন-  প্রিয়াঙ্কার কুর্তি ধরে টানাহেঁচড়া, চাপের মুখে এবার ক্ষমা চাইল যোগী পুলিস


পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গৌতমপল্লী থানায় সেই যুবকের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে। সেই যুবককে পুলিশস আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় সুত্র থেকে জানা গিয়েছে, আশিস নামের সেই যুবক বিরোধী পার্টির একজন কর্ম- সমর্থক। তবে পুলিসের তরফে সেই যুবকের পরিচয়ের ব্যাপারে এখনও কিছু বলা হয়নি।