নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমে ছিল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে, এবার বেসরকারি সংস্থাগুলির উপর বাধ্যতামূলক করা হলো আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশজুড়ে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার সব কর্মীদের ব্যবহার করতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ। এই নিয়মের অন্যথা হলে দায় নিতে হবে সংস্থার কর্তৃপক্ষকে। আরও দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন ৩.০ জারি হতেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিয়ে  আরও কড়া মনোভাব দেখালো কেন্দ্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে সব কর্মীরা অফিসে যাচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আগামী ৪ মে থেকে মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইনস্টল বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। তবে, বাড়ি থেকে কাজ করা কর্মীদের ক্ষেত্রে এই অ্যাপ ব্যবহার ঐচ্ছিক। কনটেনমেন্ট জ়োনে থাকা কর্মীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই অ্যাপ ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন- করোনা আবহে ভূস্বর্গে ফের জঙ্গি হানা, শহিদ হলেন এক মেজর ও এক কর্নেল


এপ্রিলে শুরুতে আরোগ্য সেতু অ্যাপ লঞ্চ করে কেন্দ্র। তখন এই অ্যাপ ব্যবহার ঐচ্ছিক ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে বাধ্যতমূলকের পথে হাঁটতে শুরু করে কেন্দ্র। তিন দফায় লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। তবে, আরও দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি হলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই আরোগ্য সেতু অ্যাপকে ‘নজরদারি’ হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে মোদী সরকার।


কিন্তু এই অ্যাপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্র চাইছে আরোগ্য সেতু অ্যাপ কনটেনমেন্ট জ়োনে একশো শতাংশ ব্যবহার। কিন্তু আম জনতার গোপনীয় তথ্য কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জিপিএস-এর মাধ্যমে হটস্পট চিহ্নিত করবে এই অ্যাপ। ব্যক্তিগত তথ্যের চেয়ে এলাকা ভিত্তিক তথ্য চাওয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়।