এবার এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিও গেল আদানির হাতে
ডেভেলপার ২৪.৬২ হেক্টর ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করবে বলেও জানা গিয়েছে। এটি ধারাভিতে বসবাসকারী পরিবার এবং বাণিজ্যিক ইউনিটগুলির পুনর্বাসনের সঙ্গে জড়িত।
![এবার এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিও গেল আদানির হাতে এবার এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিও গেল আদানির হাতে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/11/29/398057-dharavi.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গৌতম আদানি-র নেতৃত্বাধীন আদানি প্রোপার্টিজ ভারতের বৃহত্তম পুনর্নির্মাণ প্রকল্পগুলির মধ্যে একটির দায়িত্ব পেয়েছে। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্তি মুম্বইয়ের ধারাভি-র পুনর্গঠনের বরাত পেয়েছে তারা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আদানি প্রপার্টিজ এই প্রকল্পে ৫,০৬৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানায়। এই ঘোষণা তাদেরকে সকলের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা করেছে।
প্রকল্পের বিডিংয়ের মানদণ্ডটি ১,৬০০ কোটি টাকার উপরে উদ্ধৃত সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণের ভিত্তিতে রাখা হয়েছিল।
অন্য দুই দরদাতা ছিল ডিএলএফ এবং শ্রী নমন ডেভেলপারস। পরিকল্পনাটি সারা বিশ্ব থেকে দরপত্রের আহ্বান করার পড়ে দুই মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা সহ মোট আটটি কোম্পানি প্রকল্পটি গ্রহণে আগ্রহ দেখিয়েছিল।
আগের সব প্রচেষ্টার বিপরিতে এইবার ধারাভি পুনর্নির্মাণের জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের প্রচেষ্টা দেশীয় রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলিকে আকর্ষণ করেছে।
সেপ্টেম্বরে, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁর বাসভবন মাতোশ্রীতে দেখা করেছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে তাঁর আরেকটি বৈঠক হয়।
বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সের বাণিজ্যিক ব্যবসায়িক জেলার ঠিক পাশে ২৪০ হেক্টর প্রাইম ল্যান্ডের একটি এলাকা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে। এটি ধারাভিতে বসবাসকারী পরিবার এবং বাণিজ্যিক ইউনিটগুলির পুনর্বাসনের সঙ্গে জড়িত।
ডেভেলপার ২৪.৬২ হেক্টর ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করবে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও ধারাভির অভ্যন্তরে এক থেকে চার সেক্টরের মধ্যে ইতিমধ্যেই ডেভেলপকরা এলাকাগুলি বাদে।
স্পেশাল পারপাস ভেহিকেলে, প্রাইভেট প্লেয়াররা ৮০ শতাংশ ইক্যুইটি এবং রাজ্য সরকার ২০ শতাংশ ব্যালেন্স রাখবে। প্রায় ৬০,০০০ পরিবার এবং ১৩,০০০ বাণিজ্যিক ইউনিটের জন্য বিনামূল্যে আবাসন দেওয়ার পরিবর্তে, প্রাইভেট কোম্পানিকে অন্যান্য ছাড়, আরও ভাল চার্জ, পরিদর্শন চার্জ, লেআউট জমার পরিমাণ, মুম্বইয়ের যে কোনও জায়গায় অতিরিক্ত এফএসআই ব্যবহার করার মধ্যে চার ফ্লোর স্পেস ইনডেক্সের অনুমতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি রাজ্যের জিএসটি-তেও তাদেকে সুবিধা দেওয়া হবে। প্রতিটি বস্তি মালিক ন্যূনতম ৪০৫ বর্গফুট একক কার্পেট এলাকা পাবেন।