নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় বায়ুসেনার পাল্টা প্রত্যাঘাতের পর আরও কোণঠাসা পাকিস্তান। বুধবার আরও সুর নরম করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের কাছে তাঁর আর্জি যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিফলে পাক হানা, নিখোঁজ এক ভারতীয় পাইলট, পাক হেফাজতে থাকার দাবি খতিয়ে দেখছে বিদেশমন্ত্রক


১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা হয়েছিল। হামলায় শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হয়েছেন অনেকে। জইশ-ই-মহম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে নেয়।



মাসুদ আজহারের এই জঙ্গি সংগঠন পাকিস্তানের মদতপুষ্ট হওয়ায় ভারতের সব রোষ গিয়ে পড়ে পাকিস্তানের উপর। পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন করার জন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপ নেয় মোদী সরকার।


আরও পড়ুন: বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কিছুক্ষণেই স্বাভাবিক হবে পরিষেবা


সেই পরিস্থিতিতে ভারতকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিল হুঁশিয়ারি। ভারত আক্রমণ করলে জবাব দেবে পাকিস্তান, একথাও সেদিন বলেন তিনি।



কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল মঙ্গলবার ভোররাতে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। তার পর বুধবার সকালে বিমান নিয়ে ভারতের দিকে তেড়ে এসেছিল পাকিস্তান।


আরও পড়ুন: ভারতের উপর হামলার চেষ্টা চালানোর পর শান্তির বার্তা দিচ্ছে ইসলামাবাদ!


কিন্তু ৬টি মিগ-২১ সেই প্রক্রিয়া বানচাল করে দেয়। ভারতের একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে দেয়। তার পর নানা ভুয়ো দাবি করার পর শেষপর্যন্ত ভোল বদলাতে বাধ্য হল পাকিস্তান।


পাক প্রধানমন্ত্রী এদিন আবার আলোচনার আর্জি জানালেন। তাঁর কথায়, যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়। যুদ্ধ শুরু হলে তাঁর বা নরেন্দ্র মোদীর হাতে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।


আরও পড়ুন: মাসুদ আজহারকে পাকিস্তানে ঢুকে মারতে সক্ষম ভারত, জানিয়ে দিলেন অরুণ জেটলি


একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ভারত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে এলে, পাকিস্তানও একই কাজ করতে পারে। বুধবার সেই কাজ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। অন্যদিকে গোটা বিশ্বে যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।