ভারতের উপর হামলার চেষ্টা চালানোর পর শান্তির বার্তা দিচ্ছে ইসলামাবাদ!

ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে গফুরের দাবি খারিজ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও যুদ্ধবিমান নামানো হয়নি। কোনও পাইলটকেও গ্রেফতার করা হয়নি

Updated By: Feb 27, 2019, 04:06 PM IST
ভারতের উপর হামলার চেষ্টা চালানোর পর শান্তির বার্তা দিচ্ছে ইসলামাবাদ!

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের প্রত্যাঘাতের জবাবে রাত থেকেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে দফায় দফায় গোলাগুলি চালায় পাকিস্তান। সকালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের আকাশসীমায় কমপক্ষে ৩টি পাক-যুদ্ধবিমান প্রবেশ করে। এরপরও শান্তির বার্তা শোনাচ্ছেন পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল এ গফুর। তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে বুধবার বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার মোকাবিলায় পাক্ষপাতী আমরা। পাকিস্তান শান্তি চায়।

আরও পড়ুন- 'ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানো হয়েছে', পাক দাবি খারিজ বায়ুসেনার

এ দিন সকালে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এফ-১৬ পাক যুদ্ধবিমান। কাশ্মীরে পুঞ্চ ও নওসেরা সেক্টরে ঢোকা মাত্রই জবাব দেয় ভারতের টহলদারি বিমান। প্রত্যাঘাত পেয়েই পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, রাজৌরি সেক্টরে বোমা ফেলে পালায় পাক বিমান। যদিও, পাক মেজর জেনারেল গফুর দাবি করেন, পাক নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমা থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার ২ যুদ্ধবিমানকে নামানো হয়েছে। একটি ভারতের দিকে পড়ে। অন্যটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভেঙে পড়ে। গফুরের আরও দাবি ছিল গ্রেফতার করা হয়েছে পাইলটকে।

ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে গফুরের দাবি খারিজ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও যুদ্ধবিমান নামানো হয়নি। কোনও পাইলটকেও গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি পাক মিডিয়ায় বিমান ধ্বংসের যে ছবি দেখানো হচ্ছে, তা ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠেছে। মজার বিষয়, গফুরের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদল করেন তিনি। পরে গফুর দাবি করেন, ভারতে বুদগামে ভেঙে পড়া বিমানটির সঙ্গে তাদের কোনো হাত নেই। এরপর কার্যত ঢোক গিলে শান্তির পথে হাঁটার বার্তা দেন তিনি।

আরও পড়ুন- মাসুদ আজহারকে পাকিস্তানে ঢুকে মারতে সক্ষম ভারত, জানিয়ে দিলেন অরুণ জেটলি

মঙ্গলবার ভোররাতে সাড়ে ৩টে নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং আরও গভীরে ঢুকে হামলা চালায় ভারতের বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বালাকোটায় জইশের অন্যতম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ একাধিক অস্ত্রভাণ্ডার। ভারতের তরফে দাবি, কমপক্ষে ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এমনকি পুলওয়ামা হামালার মূলচক্রী এবং জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক, ভাই-সহ একাধিক কম্যান্ডারেরও মৃত্যু হয়। আন্তর্জাতিক মহলে এই অভিযানকে অসামরিক পদক্ষেপ বলে তুলে ধরে ভারত। আজ চিনে ত্রিদেশীয় রাশিয়া-ভারত-চিন বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, পাকিস্তান জঙ্গি নিধনে ব্যর্থ। পুলওয়ামা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের। এরপরও এ ঘটনার দায় স্বীকার করা জইশের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পাকিস্তান। বাধ্য হয়েই পদক্ষেপ করতে হয়েছে ভারতকে। এ দিন সুষমা স্পষ্ট করেন, শুধুমাত্র জঙ্গিদের ঘাঁটিতেই লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। পাক সেনা বা নাগরিককে হামলা করা হয়নি।

.