বিনা অপরাধে ২০ বছর কেটেছে লাহোরের জেলে, অবশেষে ঘরে ফিরছেন ওড়িশার বিরজু
এতদিন চলে গিয়েছে। ছেলের শোকে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বিরজুর মা-বাবার। বেঁচে রয়েছে একমাত্র দিদি ও কাকা
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিনেমার কোনও গল্প নয়। একেবারেই বাস্তব। টানা দু'দশক পাকিস্তানের জেলে কাটিয়ে ঘরে ফিরছেন ওড়িশার সুন্দরগড়ের বাসিন্দা বিরজু কুলু।
সীমান্ত পেরিয়ে পাক সীমানায় ঢুকে পড়ার 'অপরাধে' কুড়ি বছর লাহোরের জেলেই কাটাতে হল বিরজুকে। ভাগ্য ভালো তাঁর, জেলের নির্যাতনেই তাঁর জীবন শেষ হয়ে যায়নি।
আরও পড়ুন-মহিলার শ্লীলতাহানি, এসএমএস-এ কুপ্রস্তাব, তৃণমূল নেতাকে উত্তমমধ্যম জুতোপেটা!
বছর কুড়ির বিরজু কাজ পেয়েছিলেন পাটনার একটি হোটেলে। পরিবারের দাবি তাঁর মানসিক ভারসাম্যের সমস্যা রয়েছে। কোনও কারণে পাটনার সেই হোটেল থেকে উধাও হয়ে যান বিরজু। হোটেল মালিক তাঁর সুন্দগড়ের বাড়িতে খবর দেন। বিহার পুলিস খোঁজ করেও বিরজুর কোনও হদিশ করতে পারেনি।
সুন্দরগড়ের পুলিস সুপার সাগরিকা নাথ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কীভাবে বিরজু পাকিস্তানে ঢুকে পড়ল তা এখনও রহস্যই। কিন্তু কোনও ভাবে ও অমৃতসরে পৌঁছে যায়। তার পর সেখান থেকে ঘুরতে ঘুরতে পঞ্জাব সীমান্ত পার করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে। তার পর থেকেই সে পাকিস্তানে যুদ্ধবন্দি। গত ২৬ অক্টোবর তাকে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তার আগে পর্যন্ত বিরজুর বাড়ির লোক জানতেই পারেনি ও কোথায়।
আরও পড়ুন-'কোভিড পজেটিভ', করোনায় আক্রান্ত খোদ কলকাতা মেডিকেলের অধ্যক্ষ
পুলিস সুপার আরও বলেন, গত সপ্তাহে বিদেশমন্ত্রক থেকে ফোন করে বিরজুর মুক্তির খবর দেওয়া হয়। সে বন্দি ছিল লাহোরের জেলে। তার ঠিকানা পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়। কারণ লাহোরের জেলে সে সুন্দগড়ের ঠিকানাই দিয়েছিল।
এতদিন চলে গিয়েছে। ছেলের শোকে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বিরজুর মা-বাবার। বেঁচে রয়েছে একমাত্র দিদি ও কাকা। গ্রামের ছেলে ফিরবে বলে উত্সবের আনন্দ বিরজুর গ্রামে।