রাজ্যে ঘাঁটি গেড়েছে Al Qaeda; কী করছে প্রশাসন, দিল্লিতে বসে তোপ Dhankhar-র
রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে ধনখড়ে স্পষ্ট অভিযোগ, বিশেষ রাজনৈতিক দল করার জন্য খুন হতে হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার সেসবের পাশাপাশি রাজ্যে আল কায়দার জাল ছড়ানোর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন রাজ্যপাল।
শনিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, বাংলায় আল কায়দা তার ভিত তৈরি করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে। রাজ্যে যেখানে সেখানে বোমা তৈরি হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, পুলিস-প্রশাসন করছেটা কী? রাজ্যের ডিজিপির রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট। তাই আমি বলি, বাংলায় কাজ করছে এক রাজনৈতিক পুলিস।
আরও পড়ুন-অপেক্ষা শেষ, ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে দেওয়া শুরু হবে করোনার টিকা
সম্প্রতি ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার(J P Nadda)কনভয়ে হামলা হয়। তার পর এ রাজ্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তবে রাজ্যে আল কায়দার(Al Qaeda) ঘাঁটি নিয়ে রাজ্যপালের যে দাবি তার স্বপক্ষে তাঁর হাতে কী তথ্য রয়েছে তা স্পষ্ট করেননি ধনখড়।
এদিন সংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হয়, অমিত শাহরে(Amit Shah) সঙ্গে তাঁর কী আলোচনা হল? রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের কথা মাথায় রেখে কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত? একুশের ভোট কি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভোট করা উচিত? এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্যে যেখানে একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা রয়েছেন। তার পরেও পুলিস কী কাজ করেন তা জানি না। রাজ্যে যততত্র বোম বিস্ফোরণ হচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের একাংশ শাসক দলের ইশারায় চলছে বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন ধনখড়(Jagdeep Dhankhar)। শনিবার দিল্লিতেও সেকথা টেনে আনেন রাজ্যপাল। বলেন, একজন সরকারি কর্মী যদি রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করেন তাহলে তা আইনের শাসনের জন্য মহা বিপদ। সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। সাংবিধান অনুযায়ী নিজের দায়িত্ব পালন করুন। শুনলে অবাক হবেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস একজনকে নোটিস দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে, কেন আপনি আদালতে গিয়েছিলেন। আমি তো শুনে অবাক। এনিয়ে ডিজির কাছে জানতে চেয়েছিলাম। উনি জানিয়েছেন, পুলিস তার নিদের কাজ করছে। ভাবা যায়! এতো গণতন্ত্রের ওপরে পেরেক পোঁতার সামিল।
আরও পড়ুন-Nandigram-এ Suvendu-র অফিসে ভাঙচুর, কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচলেন কর্মীরা
রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে ধনখড়ে স্পষ্ট অভিযোগ, বিশেষ রাজনৈতিক দল করার জন্য খুন হতে হচ্ছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন। এই ভোটে যাতে রক্ত না ঝড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই চেষ্টাই করছি। প্রতিমাসে আমাকে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যের পরিস্থিতি নিযে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। আগের দুটি নির্বাচনে রক্ত ঝড়েছে। তাই এবার ভোটে রাজ্যে ভোটদাতারা চাপে থাকবেন। অনেকে বলেন, আমার সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সংঘাত রয়েছে। কিন্তু এমন কথা আমার মনে হয় না। তাবে একটা বিষয় স্পষ্ট, রাজনীতি করার জন্য সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করা যাবে না। বারবার এনিয়ে বলার ফলে অনেকে সতর্ক হয়েছেন। কেউ আইনের শাসনের বাইরে গেলে তা অগ্রাহ্য করা যায় না। এটা অপরাধ। তাই ওই অপরাধ করতে পারব না।