জেলাশাসকের মুক্তি ৩ মে, জানাল মাওবাদীরা
অবশেষে জেলাশাসকের মুক্তির বার্তা। ছত্তিসগড়ের অপহৃত জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেননকে আগামী ৩ মে অর্থাত্ বৃহস্পতিবার মুক্তি দিচ্ছে মাওবাদীরা। মঙ্গলবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে এসএমএস করে জানাল মাওবাদীরা।
অবশেষে জেলাশাসকের মুক্তির বার্তা। ছত্তিসগড়ের অপহৃত জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেননকে আগামী ৩ মে অর্থাত্ বৃহস্পতিবার মুক্তি দিচ্ছে মাওবাদীরা। মঙ্গলবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে এসএমএস করে জানাল মাওবাদীরা। এসএমএসটি পাঠান, মাওবাদীদের দক্ষিণ বাস্তার ডিভিশনাল কমিটির নেতা বিজয়। বিজয় তাঁর এসএমএস-এ লিখেছেন, সুকমার জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেনন আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। আমাদের মধ্যস্থতাকারী মিস্টার শর্মা ও হরগোপালজি ছত্তিসগড় সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন। চুক্তিটি ছত্তিসগড়ের বিভিন্ন জেলে বন্দি মাওবাদীদের মুক্তি সংক্রান্ত। মধ্যস্থতাকারীরা তাঁদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন, তার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা জেলাশাসককে ছাড়তে প্রস্তুত। ৩ মে তারমেটলার জঙ্গলে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে আমরা মধ্যস্থতাকারীদের হাতে জেলাশাসকে তুলে দেব। অ্যালেক্সের মুক্তির খবর শুনে মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৫ নাগাদ `২৪ ঘণ্টা`কে দেওয়া প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান জেলাশাসকেক ভাই আনন্দ মেনন। অ্যালেক্সের পরিবার জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে খবরটি দেখে তাঁরা খুবই উচ্ছ্বসিত। তবে ৩ মে কখন তাঁরা জেলাশাসককে মুক্তি দেবেন সে বিষয়ে মাওবাদীদের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
জেলাশাসকের মুক্তি নিয়ে সরকার ও মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে সোমবার রাতে এক সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সমঝোতার পরই অপহৃত জেলাশাসকের মুক্তির সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল হয়। বিশেষ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোটা পরিস্থিতি এবং মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয় ছত্তিসগড় মন্ত্রিসভার বৈঠকেও। কিন্তু এখন কোথায় রাখা হয়েছে অপহৃত জেলাশাসককে? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তারমেটলার জঙ্গল থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তারমেটলার জঙ্গল থেকে উত্তরে কুড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে জগরগোন্ডা অথবা দক্ষিণ দিকে কোন্টায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
গত শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মাঝিপাড়া গ্রামে একটি পঞ্চায়েত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জেলাসদরে ফেরার সুকমার জেলাশাসক অ্যালেক্স পল মেননকে অপহরণ করে মাওবাদীরা। সুকমার কাছে গাদিরাশ ও কেরলাপালের মাঝে অ্যালেক্সের কনভয়ে হামলা চালায় ১৫ থেকে ২০ জনের একদল সশস্ত্র মাওবাদী। প্রত্যেকেই মোটরবাইকে চেপে এসেছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা তত্পর হলেই গুলি চালাতে শুরু করে তারা। মাওবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২ নিরাপত্তারক্ষীর।