মোদীকে বার্তা দিতেই রবীন্দ্রনাথকে 'হাতিয়ার' মোহন ভাগবতের!
সংঘপ্রধানের পরের বক্তব্য আরও স্পষ্ট। মোদী বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের কথা বলেছিলেন। ভাগবত বললেন একতাতেই বৈচিত্র। বিজেপির কঠোরতম সমালোচক সংঘই
![মোদীকে বার্তা দিতেই রবীন্দ্রনাথকে 'হাতিয়ার' মোহন ভাগবতের! মোদীকে বার্তা দিতেই রবীন্দ্রনাথকে 'হাতিয়ার' মোহন ভাগবতের!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/12/27/225867-mohanbhagwatnew.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি যখন কোণঠাসা, মুখ খুললেন মোহন ভাগবত। হায়দরাবাদে RSS এর শিবিরে সংঘ প্রধানের গলায় রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি। কাকে বার্তা দিলেন?
গুজরাট যখন জ্বলছে মুখ খুলেছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। নাগরিকত্ব সংশোধনীকে কেন্দ্র করে দেশের বহু শহরে যখন বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছে, মুখ খুললেন মোহন ভাগবত। ঘটনাচক্রে সেদিন বাজপেয়ীরই জন্মদিন।
ভাগবতের বক্তব্য বাজপেয়ীর মতো সরাসরি নয়। ঘুরিয়ে। হায়দরাবাদে RSS-এর সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করলেন। দেশের টালমাটাল পরিস্থিতির উল্লেখ করলেন। অথচ করলেন না। ঘুরিয়ে বললেন ব্রিটিশ আমলে হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথ কী বলেছিলেন? তারপর আদর্শ নেতার বর্ণনা দিলেন। নিজের নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়। নিশানায় কে? মোদী নন তো?
আরও পড়ুন- প্রায় ৫ মাসের মাথায় কারগিলে চালু হল ইন্টারনেট
সংঘপ্রধানের পরের বক্তব্য আরও স্পষ্ট। মোদী বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের কথা বলেছিলেন। ভাগবত বললেন একতাতেই বৈচিত্র। বিজেপির কঠোরতম সমালোচক সংঘই। গেরুয়া রাজনীতির খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা একথা জানেন। ইগো ক্ল্যাশও অস্বাভাবিক নয়। পার্টি অস্বাভাবিক গতিতে এগোলে সংঘই নাকি ব্রেক কষে। ব্যক্তিত্বের সংঘাতও হয়। ইদানিংও নাকি তেমনই পরিস্থিতি। মহারাষ্ট্রে সরকার হাতছাড়া হওয়ার পর নাকি সংঘের নেতারা বিজেপির ওপর রুষ্ট।
মোদী-শাহ জুটির সঙ্গে নাগপুর ঘনিষ্ঠদের 'মতান্তর' সংঘ ভালভাবে নেয়নি। ঝাড়খন্ডে আদিবাসী ভোট বিজেপির ভাগে আনতে সংঘ নাকি সহযোগিতা করেনি। কিন্তু, বাস্তবিক তথ্য বিপরীত ইঙ্গিতও তো দিচ্ছে। গত কয়েকমাসে সংসদে একের পর এক যে আইন পাস করানো হয়েছে, সবই তো সংঘের ঘোষিত কর্মসূচি। তাহলে মোদী-অমিত শাহের মতো কাজের জুটির ওপর কেন রুষ্ট হবে সংঘ? আবার মোহন ভাগবত যা বললেন, তাও কি নেহাত কথার কথাই। কোনও বার্তা নেই? ধাঁধা একটা থেকেই গেল।