প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে সংসদে সরব বিরোধীরা
টুজি এবং কয়লা বণ্টন কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার বাম, বিজেপির জোড়া আক্রমণের সামনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব হয় দুই দলই। এদিন সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই কয়লা বণ্টন নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে বিজেপি। দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেন বিজেপি এবং বাম সাংসদরা। সরকার অবশ্য ইস্তফার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে।
টুজি এবং কয়লা বণ্টন কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার বাম, বিজেপির জোড়া আক্রমণের সামনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে সরব হয় দুই দলই। এদিন সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই কয়লা বণ্টন নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে বিজেপি। দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেন বিজেপি এবং বাম সাংসদরা। সরকার অবশ্য ইস্তফার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমলনাথ জানিয়েছেন, "বিজেপির আনা প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবির কোনও ভিত্তি নেই।" সমাজবাদী পার্টি সহ ইউপিএ সরকারের শরিকরাও অবশ্য সরকারের পাশেই থাকছে বলে সূত্রে খবর।
এদিন বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল সংসদ। টুজি এবং কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধীরা সরকারকে কোণঠাসা করতে পারে বলে খবর। কয়লার ব্লক বণ্টন নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট আজ সংসদে পেশ হতে পারে।
সূত্রের খবর, ১৯৯৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বণ্টিত হওয়া কয়লা ব্লকগুলি বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। ব্লক বণ্টনের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয়নি বলেই বলা হয়েছে রিপোর্টে। উনিশশো তিরানব্বই থেকে দুহাজার চার সাল পর্যন্ত কয়লা ব্লক বণ্টনে কোনও স্বচ্ছতা ছিলনা বলেই উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। সূত্রের খবর, পরবর্তী সময়ে ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে ব্লক বণ্টন সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপণ দেওয়া হলেও কোনও রকম নিলাম হয়নি বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। কয়লার মত প্রাকৃতিক সম্পদের ব্লক বণ্টনে নিলাম না হওয়ায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতির কথা উল্লেখ করে রিপোর্টে সরকারের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।