নূপুর তলোয়ারের জামিনের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে
আরুষি হত্যা মামলায় নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদনের খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। গত ৩০ এপ্রিল থেকে গাজিয়াবাদের দাসনা জেলে বন্দি নূপুর তলোয়ারের জন্য তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালেও সিবিআই-এর তরফে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা প্রকাশ করে তার তীব্র বিরোধিতা করা হয়।
আরুষি হত্যা মামলায় নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদনের খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। গত ৩০ এপ্রিল থেকে গাজিয়াবাদের দাসনা জেলে বন্দি নূপুর তলোয়ারের জন্য তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালেও সিবিআই-এর তরফে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা প্রকাশ করে তার তীব্র বিরোধিতা করা হয়। শেষ পর্যন্ত সিবিআই-এর আবেদন মেনে আরুষি-হেমরাজ হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর আগে আরুষি হত্যা মামলায় তাঁর বাবা রাজেশ তলোয়ারকেও জেলে যেতে হয়েছিল। রাজেশ বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। আগামী ৪ জুন থেকে গাজিয়াবাদ আদালতে আরুষি-হেমরাজ হত্যা মামলার সাক্ষীদের জেরা-পর্ব শুরু হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজেশ তলোয়ারের জামিন নাকচ করার জন্য ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০০৮ সালের মে মাসে নয়ডায় তলোয়ার দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল আরুষি ও পরিচারক হেমরাজের দেহ। সেই ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত আরুষির মা নূপুর তলোয়ার। এর আগে একাধিকবার গাজিয়াবাদ আদালতের তরফে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করেন নূপুর। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নূপুর তলোয়ারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল গাজিয়াবাদের সিবিআই আদালত। কিন্তু বিচারক প্রীতি সিংয়ের সেই নির্দেশ স্থগিত রাখাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নূপুর তলোয়ার। কিন্তু গত ২৭ এপ্রিল সেই আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এর পরই নূপুর তলোয়ারের জেল যাত্রা কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। গাজিয়াবাদ আদালতের বিচারক এস লালের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে নূপুর তলোয়ার জামিনের আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশই বহাল রাখল।