গুজরাটে দুই বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস ছাড়লেন অল্পেশ ঠাকোর
তবে গুজরাটের রাজনীতির হালহকিকত্ নিয়ে যাঁরা খবর রাখেন, তাঁদের বক্তব্য যে অল্পেশরা এবার মোদীর হাত শক্ত করবেন। শিগগিরই যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাত পোহালেই প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। আর তার ঠিক একদিন আগেই বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। গুজরাটে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন তিন বিধায়ক। সেই দলে রয়েছেন অল্পেশ ঠাকোরও।
২০১৭ সালের শেষে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল কংগ্রেস। কারণ, ওই রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে পারলে ধাক্কা দেওয়া যেত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
তাই কংগ্রেসের তত্কালীন সহ-সভাপতি সঙ্গে নিয়েছিলেন গুজরাটের ত্রি-মূর্তিকে। অল্পেশ ঠাকোর, জিগনেশ মেওয়ানি এবং হার্দিক প্যাটেলকে। এর তিনজনই গুজরাটের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের হয়ে সরকার বিরোধী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন।
অল্পেশ ও জিগনেশ কংগ্রেসের টিকেটে ভোটে লড়েন। বিধায়কও হন। হার্দিক সেই সময় রাজনীতিতে না এলেও সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতেই কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অল্পেশ ঠাকোর।
বুধবার তিনি ঘোষণা করেছেন নিজের সিদ্ধান্তের কথা। তাঁর সঙ্গেই দল ছেড়েছেন কংগ্রেসের আরও দুই বিধায়ক ধাবালসিন ঠাকোর ও ভরতজি ঠাকোর। তবে তাঁদের দল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল।
আরও পড়ুন: 'মহাজোটকে ভোট দিন', দেশের মুসলিমদের নিদান জামাত-ই-ইসলামির
কারণ, অল্পেশরা যে সম্প্রদায়ের হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন, সেই সম্প্রদায়ের একটি সংগঠন ক্ষেত্রীয় ঠাকোর সেনা। ওই সংগঠনের তরফে সাম্প্রতিক কালে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল অল্পেশদের উপর। কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দাবি করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার গভীর রাতে এক গোপন বৈঠকে অল্পেশদের কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। আর শেষপর্যন্ত বুধবার তিনি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মোদীকে ভোট দেওয়া মানে পাকিস্তানকে ভোট দেওয়া, ইমরান ইস্যুতে তোপ কংগ্রেসের
এর পর কী? এই উত্তর অবশ্য এখনও খোলসা করতে চাননি অল্পেশরা। তবে গুজরাটের রাজনীতির হালহকিকত্ নিয়ে যাঁরা খবর রাখেন, তাঁদের বক্তব্য যে অল্পেশরা এবার মোদীর হাত শক্ত করবেন। শিগগিরই যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে।