পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুনে তৃণমূলকে 'অমিত' নিশানা শাহের
পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। ঠিক তারপরই খুন হলেন বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ''বলরামপুরে দলীয় কর্মী ত্রিলোচন মাহাতকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাজ্যের মদতে সম্ভাবনাময় যুবককে খুন করা হল। ভিন্ন আদর্শের কারণে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাঁকে।''
Deeply hurt by the brutal killing of our young karyakarta, Trilochan Mahato in Balarampur,West Bengal. A young life full of possibilities was brutally taken out under state’s patronage. He was hanged on a tree just because his ideology differed from that of state sponsored goons. pic.twitter.com/nHAEK09n7R
— Amit Shah (@AmitShah) May 30, 2018
বাম জমানার হিংসাকেও বর্তমান শাসক দল তৃণমূল হার মানিয়েছে বলে দাবি করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ''বামেদের হিংসার ঐতিহ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূল সরকার। ত্রিলোচনের পরিবারের পাশে রয়েছে বিজেপি। তাঁর মৃত্যুতে গোটা দল শোকাহত। আদর্শ ও সংগঠনের পক্ষে তাঁর আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে না। ওম শান্তি ওম।''
The present TMC govt in West Bengal has surpassed the violent legacy of Communist rule. Entire BJP mourns this tragic loss & stands firmly with Trilochan Mahato’s family in this hour of grief. His sacrifice for organisation & ideology will not go in vain. Om Shanti Shanti Shanti.
— Amit Shah (@AmitShah) May 30, 2018
পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। ঠিক তারপরই খুন হলেন বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাত। বলরামপুরে পড়াশোনার ফাঁকে বিজেপি কর্মী হিসাবে কাজ করতেন তিনি। অভিযোগ সে জন্য বার বার শাসকদলের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছিল। পরিবারের অভিযোগ, খুনের পিছনে হাত রয়েছে শাসকদলের। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলেই প্রাণ গেছে ত্রিলোচনের।।
মঙ্গলবার সন্ধেয় হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে ত্রিলোচনকে ঘিরে ধরে কয়েকজন। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় গাছের ডালে। খুনের ঠিক আগে বাড়িতে যোগাযোগের চেষ্টা করে ত্রিলোচন। বুধবার ভোরে উদ্ধার হয় ত্রিলোচনের দেহ। মায়ের অভিযোগ বিজেপি করার জন্যই খুন হয়েছে ছেলেকে। ত্রিলোচনের মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে হুমকি পোস্টারও। তৃণমূলের পাল্টা দাবি খুনের কারণ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। পুলিসের দাবি ,খুনের আসল কারণ ব্যক্তিগত শত্রুতা। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন- কৃষক ঋণ মকুব নিয়ে নয়া বিস্ফোরণ ঘটালেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী