ফের সংসদে উঠল সনিয়া গান্ধীর বিদেশিনী প্রসঙ্গ
বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, 'সবাই জানে যে বিয়ের পরও ইতালিয় নাগরিকত্ব ছেড়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিতে চাননি সনিয়া গান্ধী।' এর পরই চরম আঘাত হানেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বলেন, 'কংগ্রেস সভাপতি তো নিজেই একজন অনুপ্রবেশকারী।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের সংসদে উঠল সনিয়া গান্ধীর বিদেশিনী প্রসঙ্গ। সোমবার লোকসভায় এই প্রসঙ্গে সরব হন বিজেপি মন্ত্রী ও সাংসদরা। রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুপ্রবেশকারী বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তার পালটা এদিন সংসদে সনিয়া গান্ধীর বিদেশিনী ইস্যু উত্থাপন করে বিজেপি।
এদিন লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। তার সঙ্গে যোগ দেন সঞ্জয় জয়সওয়াল ও রাজেন্দ্র আগরওয়াল। নিশিকান্ত দুবে বলেন, 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য অধীরবাবুর একটু বিশেষ দরদ রয়েছে। তিনিই আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুপ্রবেশকারী বলছেন।' এর পরই তিনি বলেন, 'মজার কথা হলো কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতাই ইতালির লোক।'
কম নম্বর পেয়েও কী করে পেলেন চাকরি? নিয়োগ দুর্নীতিতে SSC-র কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
এর পর সনিয়াকে বিঁধে বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, 'সবাই জানে যে বিয়ের পরও ইতালিয় নাগরিকত্ব ছেড়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিতে চাননি সনিয়া গান্ধী।' এর পরই চরম আঘাত হানেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বলেন, 'কংগ্রেস সভাপতি তো নিজেই একজন অনুপ্রবেশকারী।'
এর পরই অধীরকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে শোরগোল শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাননি অধীর। এর পর তাঁর হয়ে সনিয়া বা রাহুলের ক্ষমা প্রার্থনার দাবি ওঠে। তাও মেনে নেয়নি কংগ্রেস। কিছুক্ষণ দড়ি টানাটানির পর রণে ভঙ্গ দেন বিজেপি সাংসদরা। শুরু হয় সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম।