জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরও একবার শিরোনামে রাজস্থানের কোটা। ফের এক ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর সামনে এসেছে সেখানে। জানা গিয়েছে NEET-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই ছাত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে কোটায় নিটের প্রস্তুতি চলাকালীন কোচিংয়ে থাকাকালীন NEET-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই ছাত্রী। গভীর রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। বলা হচ্ছে, মৃত ছাত্রী রিচা সিং ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা। রিচা সিং রোড নম্বর ১-এ অবস্থিত ব্লেজ হোস্টেলে থাকতেন।


তিনি গভীর রাতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছে। হোস্টেলের রুমে ফ্যানের উপরে কোনও অ্যান্টি-হ্যাংগিং ডিভাইস লাগানো ছিল না। মনে করা হচ্ছে হয়তো ফ্যানে ডিভাইসটি বসানো থাকলে রিচার প্রাণ বাঁচানো যেত।


গভীর রাতে হোস্টেলের ওয়ার্ডেন বিষয়টি জানতে পেরে বিজ্ঞান নগর থানায় খবর দিলে পুলিস এসে রিচার ঘরের দরজা ভেঙে রিচাকে তার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। বিজ্ঞান নগর থানার পুলিস নিহত ছাত্রী রিচার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এমবিএস হাসপাতালের মর্গে রেখেছে। তারাই পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।


আরও পড়ুন: C 295 Aircraft: এবার ভারতের হাতে C 295 বিমান, স্পেনে হাজির বায়ুসেনা প্রধান; কী আছে এই এয়ারলিফটারে?


হোস্টেলের ওয়ার্ডেন জানান যে রিচা খুব হাসিখুশি এবং ভালো স্বভাবের মেয়ে এবং তার আচরণ অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। তিনি জানিয়েছেন একদিন আগে তার জ্বর হয়েছিল। সেই কারণে সে ওষুধ খেয়েছিল এবং নিজের চিকিৎসা করাচ্ছিল।


পাশাপাশি ওয়ার্ডেন আরও জানান যে, অন্য এক ছাত্রী তাঁকে জানিয়েছিল যে রিচা তার বাবার সঙ্গে গত এক মাস ধরে কথা বলছে না। বিজ্ঞান নগর থানার পুলিস ওই ঘরে তল্লাশি চালায়। যদিও সেখানে কোনও ধরনের সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।


এই বছর, এখনও পর্যন্ত ২৪ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোত বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং একটি রাজ্য স্তরের কমিটিও গঠন করেছিলেন। তবে এরপরেও আত্মহত্যার সংখ্যা কমছে না।


আরও পড়ুন: Army Canine Kent Dead: রাজৌরির গুলির লড়াইয়ে জওয়ানদের বাঁচিয়ে শহিদ সেনা কুকুর কেন্ট


অগস্ট মাসেই চার পড়ুয়া আত্মহত্যা করে কোটায়। এরপরেই নতুন এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করা শুরু করে সরকার। বহু পড়ুয়া এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন অনেকেই। জেলা প্রশাসন সমস্যাটি মোকাবেলা করার জন্য একটি বিতর্কিত পন্থা অবলম্বন করা শুরু করেছে। তাঁরা সেখানে সব হোস্টেল এবং পিজি-তে স্প্রিং লাগানো ফ্যান ইনস্টল করেছে। ‘পড়ুয়াদের মানসিক সমর্থন এবং নিরাপত্তা প্রদানের জন্য’ এই কাজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


ফ্যান সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, কোটা জেলা কালেক্টর ওম প্রকাশ বুঙ্কর একটি আদেশে বলেন, ‘বসবাসরত শিক্ষার্থীদের মানসিক সমর্থন এবং নিরাপত্তা প্রদান করতে এবং কোটা শহরের কোচিং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা রোধ করতে, রাজ্যের সমস্ত হোস্টেল/পিজি অপারেটরদের প্রতিটি ঘরে ফ্যানগুলিতে একটি সুরক্ষা স্প্রিং ডিভাইস ইনস্টল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)