চিনা গোয়েন্দাদের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য দিতেন ধৃত সাংবাদিক, ২০১৬ থেকে বিপুল টাকার লেনদেন
রাজীবের সঙ্গী ছিলেন এক চিনা মহিলা ও এক নেপালি নাগরিক। মহীপালপুরে এদের একটি কোম্পানি রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিনা গোয়েন্দাদের সরবারহ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লির ফ্রিলান্স সাংবাদিক রাজীব শর্মাকে। তাঁর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক চিনা মহিলা ও নেপালের এক ব্যক্তিকে। এরা তিন জনই চরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। এমনটাই বলছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল।
আরও পড়ুন-'ছেলে ধর্ম নিয়ে বেশি থাকত, তাই বলে আল-কায়দা জঙ্গি!', মানতে পারছে না বিস্ময়ে হতবাক মা
Freelance journalist Rajeev Sharma (pic 1) arrested under Official Secrets Act for passing sensitive information to Chinese intelligence. A Chinese woman & her Nepalese associate also arrested for paying him large amounts of money routed through shell companies: Delhi Police pic.twitter.com/8cDHbwcFtB
— ANI (@ANI) September 19, 2020
Journalist Rajeev Sharma was involved in passing sensitive defence & strategic information to Chinese intelligence officers from 2016 to 2018. He used to meet them at several locations in different countries: Sanjeev Kumar Yadav, DCP, Special Cell Delhi Police. https://t.co/Sxjp4ngVpj pic.twitter.com/QJivOL8xBF
— ANI (@ANI) September 19, 2020
দিল্লি পুলিস আরও জানিয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিনা গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন রাজীব। এর জন্য বিপুল টাকা লেনদেনও হয়েছে। টানা চার দশক সাংবাদিকতা করছেন রাজীব। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে নিবন্ধও লিখতেন তিনি।
সংবাদংস্থা এএনআইকে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলের ডিসি সঞ্জীব কুমার যাদব জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিনা গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন সাংবাদিক রাজীব শর্মা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে তিনি চিনা গোয়েন্দাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতেন।
আরও পড়ুন-চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরে হামলায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, কড়া বিল পাস রাজ্যসভায়
সঞ্জীব যাদব আরও জানিয়েছেন, রাজীবের সঙ্গী ছিলেন এক চিনা মহিলা ও এক নেপালি নাগরিক। মহীপালপুরে এদের একটি কোম্পানি রয়েছে। সেখান থেকে তাঁরা ভারতে তৈরি ওষুধ চিনে সরবারহ করতেন। তথ্য সরবারহ করার জন্য টাকা আসত এজেন্টের মাধ্যমে। তদন্তে উঠে এসেছে, ওইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবারহ করার জন্য গত ১ বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।