‘ভারতীয় হিসেবে গর্ব হয় না’, কাশ্মীর-সহ সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অমর্ত্য সেন

অমর্ত্য সেন বলেন, জননেতাদের কথা না শোনা পর্যন্ত দেশের মানুষ ন্যায় পেতে পারেন না। নেতাদেরই যদি জেলে পুরে রাখা হয় তাহলে আপনি গণতন্ত্রের পথ রোধ করে গণতন্ত্রকে সফল করতে চাইছেন

Updated By: Aug 20, 2019, 12:35 PM IST
‘ভারতীয় হিসেবে গর্ব হয় না’, কাশ্মীর-সহ সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অমর্ত্য সেন

নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর নিয়ে এবার মোদী সরকারকে নিশানা করলেন অমর্ত্য সেন। গণতন্ত্রের পথে ভারত যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে ভারতীয় হিসেবে তিনি গর্বিত নন বলে মন্তব্য করেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ।

আরও পড়ুন-মৃতদেহের চোখ উধাওকাণ্ডে আরজি কর হাসপাতালে তৈরি হল ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

সোমবার এনডি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে অমর্ত্য সেন কাশ্মীর নিয়ে সরকারের পদক্ষেপে তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, ‘এটা শুধু কোনও সংখ্যাগুরুর শাসনের উদাহরন নয় বরং এটি মানুষের অধিকারের ওপরে হস্তক্ষেপও। কাশ্মীর নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক উপায় ছাড়া নেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করি।’

একের পর এক সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষেত্রে সরকার ভুল পদক্ষেপ করেছে বলেও মন্তব্য করে অমর্ত্য সেন। বলেন, ‘দুনিয়ায় এক গণতানন্ত্রিক দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার পর সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে তাতে ভারতীয় হিসেবে আমার গর্ব হয় না।’

উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, জম্মু ও কাশ্মীরকে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও ভাগ করেছে সরকার। এনিয়ে কাশ্মীরের মানুষ ক্ষুব্ধ হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে একাধিক বিরোধী দল।

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘গোটা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিলে রাজ্যের মানুষেরই। কাশ্মীরিদের এনিয়ে নিজস্ব যুক্তি রয়েছে।’ পাশাপাশি কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করারও বিরোধিতা করেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ।

আরও পড়ুন-রাজীব গান্ধীর ৭৫তম জন্মদিনে টুইটে শ্রদ্ধা জানালেন মোদী

অমর্ত্য সেন বলেন, জননেতাদের কথা না শোনা পর্যন্ত দেশের মানুষ ন্যায় পেতে পারেন না। এক সময়ে যারা সরকার গড়েছে সেইসব নেতাদেরই যদি জেলে পুরে রাখা হয় তাহলে আপনি গণতন্ত্রের পথ রোধ করে গণতন্ত্রকে সফল করতে চাইছেন।

কাশ্মীরে বিপুল সংখ্যায় নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, এটা একটা পুরনো পদ্ধতি। দুশো বছর এই পদ্ধতিতেই এদেশ শাসন করেছিল ব্রিটিশরা।

.