`ডাউট ক্লিয়ার` করতে স্কুলে এসে করোনা আক্রান্ত নবম ও দশম শ্রেণির ২৭ পড়ুয়া
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলা কালি শ্রীনিবাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিজিয়ানগরমের যেসব পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের অভিভাবকদেরও করোনা টেস্ট হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্কুলে গিয়ে করোনা সংক্রমণের শিকার অন্ধ্রপ্রদেশের এক সরকারি স্কুলের ২৭ পড়ুয়া! এরা সবাই উপসর্গহীন হলেও আতঙ্ক ছড়াল অভিভাবকদের মধ্যে। স্কুলে গিয়ে এরা সংক্রমিত হয়েছে নাকি অন্য কোথা থেকে সংক্রমণ হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন-'মোদীজি কাপুরুষ, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে ১৫ মিনিটে চিনকে ভারতের ভূখণ্ড থেকে তাড়িয়ে দিত'
অন্ধ্রপ্রদেশে স্কুল খুলছে ২ নভেম্বর থেকে। কিন্তু তার আগেই স্কুলে কীভাবে গেল পড়ুয়ারা? জানা যাচ্ছে বিজিয়ানগরম জেলা পরিষদ হাইস্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির ওইসব পড়ুয়ারা 'ডাউট ক্লিয়ার' করার জন্য স্কুলে যেত। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা মোকাবিলায় স্কুলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। পড়ুয়ারা অন্য কোনও জায়গা থেকে সংক্রমিত হতে পারে।
যেসব পড়ুয়া করোনা সংক্রমিত হয়েছে তার বিভিন্ন গ্রামের। এরা সংক্রমিত হয়ে পড়াতে এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে ওই স্কুল আপাতত খুলতে নিষেধ করেছেন জেলা শাসক এম হরি জওহরলাল ।
আরও পড়ুন-লরি থেকে করোনা ছড়াল ঝাড়গ্রামে, অনুমান মুখ্যমন্ত্রীর
জেলা শিক্ষা বিভাগের এক আধিকারিক জি বিজয়ালক্ষ্মী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন,বিজিয়ানগরমের একটি গ্রামেই ১০৮ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন ছাত্র ও ৯ জন ছাত্রী।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলা কালি শ্রীনিবাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিজিয়ানগরমের যেসব পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের অভিভাবকদেরও করোনা টেস্ট হবে। হোম আইসোলেশনেই আপাতত থাকবে পড়ুয়ারা। এর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ তাদের দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিজিয়ানগরম জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬,০০০ জন। এদের মধ্যে ৩৩,০০০ রোগী সুস্থ হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২২০ জন।