Atiq Ahmed Murder: যোগীরাজ্যে লাগামহীন নৈরাজ্য, আতিক খুনের বীভত্সতায় স্তম্ভিত মমতা
Atiq Ahmed Murder: যে যোগীর পুলিস এনকাউন্টারে অত্যন্ত দক্ষ তারা একটা গুলিও চালাল না! বরং হামলাকারীরা যাতে মারা না যায় তার জন্য তাদের জাপটে ধরে গ্রেফতার করল
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করাতে আনা হয়েছিল ডাকাবুকো গ্য়াংস্টারকে। চারদিকে কড়া পুলিসি প্রহরা। সেই পুলিসের ঘেরাটেপেই হাতকড়া পরানো এক গ্যাংস্টারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে দিল হামলাকারীরা। অন্য এক হামলাকারী মাটিতে পড়ে যাওয়া অন্য এক গ্য়াংস্টারকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালাতে লাগল। সবটাই ধরা পড়ল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। ঘটনাস্থলে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। আর এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট উত্তর প্রদেশ পুলিস একটাও গুলি চালান না। তিন হামলাকারীকে জাপটে ধরল যোগীর শান্তিরক্ষকরা। এনিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ভোটে লড়েছিলেন মোদীর বিরুদ্ধে; মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যোগী
শনিবার প্রয়াগরাজের এক হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করতে আনা হয়েছিল উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের আগামী আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফ আহমেদকে। পুলিস ও সাংবাদিকেদর সামনেই তাদের খুন করে ৩ আততায়ী। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশে এমন নৈরাজ্য ও আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার এই ঘটনা দেখে আমি স্তম্ভিত। পুলিস ও সংবাদমাধ্য়মের উপস্থিতিতেই হামলাকারীরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। গণন্ত্রন্ত্রে এমন পরিস্থিতির কোনও জায়গা নেই।
I am shocked by the brazen anarchy and total collapse of law & order in Uttar Pradesh.
It is shameful that perpetrators are now taking the law in their own hands, unfazed by the police and media presence.
Such unlawful acts have no place in our constitutional democracy.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 16, 2023
#WATCH | Uttar Pradesh: Moment when Mafia-turned-politician Atiq Ahmed and his brother Ashraf Ahmed were shot dead while interacting with media.
(Warning: Disturbing Visuals) pic.twitter.com/xCmf0kOfcQ
— ANI (@ANI) April 15, 2023
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশের অন্যান্য রাজনীতিবিদরা। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, দুটো খুনে হয়েছে। একটা আতিক এবং অন্যটা রাজ্যের আইন শৃঙ্ঘলা। মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি গতকাল ট্যুইট করেছেন, পুলিস হেফাজতে হাতকড়া পরা অবস্থায় খুন করা হয়েছে আতিক ও তার ভাইকে। ঘটনাস্থলে জয় শ্রীরাম ধ্বনি উঠেছে। যেগী সরকারের আইন শৃঙ্খলা অবনতির বড় উদারহণ এটি। অন্যদিকে, অখিলেশ যাদব লিখেছেন, অপরাধ এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে অপরাধীরা পুলিসের প্রহরার মধ্যেই খুন করার সাহস দেখাচ্ছে। এতে জনমানসে আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু লোক পরিকল্পনা কেরই এসব করছে।
গতকাল ওই খুনের ঘচনার পর থেকেই রাজ্যের সব জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রয়াগরাজের য়ে জায়গায় আতিকের বাড়ি সেই জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারদার করা হয়েছে। গতকালই তিন হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল যোগীর যে পুলিস এনকাউন্টারে এত দড় তারা একটা বুলেটও ছোড়নি। বহুবার দেখা গিয়েছে আসামী তাদের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই তারা গুলি চালিয়ে সমস্যার সমাধান করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তিন হামলাকারী যুবককে জাপটে ধরে ফেলেছে পুলিস। অর্থাত্ তারা যাতে মরে না যায় তা নিশ্চিত করেছে যোগীর পুলিস। দেশের বহু রাজনীতিক বলছেন এটি একটি হাড় হিম করা ঘটনা।