নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেওয়ার ঘটনা অতিস্বাভাবিক। আর তা করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে মাত্রা ছাড়িয়ে যান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কিন্তু রবিবার সমাজবাদী পার্টির আজম খান প্রায় সব মাত্রাই ছাড়িয়ে গেলেন। প্রতিপক্ষ বিজেপির প্রার্থী তথা অভিনেত্রী জয়প্রদা সম্পর্কে করে বসলেন কুরুচিকর মন্তব্য। একেবারে জয়প্রদার অন্তর্বাসের রং নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি।


আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর রাহুল দ্রাবিড় ভোট দিতে পারবেন না


স্বাভাবিকভাবেই যা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে। আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, আজম খানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইতে হবে অখিলেশ ও মায়াবতীকে।


প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে এবার জোট বেঁধেছে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজপার্টি। তাদের সঙ্গে রয়েছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ওই রাজ্যের রামপুরে সেই মহাজোটের প্রার্থী সমাজবাদী পার্টির আজম খান।


আরও পড়ুন: ‘হামারে পাস মোদী হ্যায়’, বিরোধীদের বিঁধতে রাম মাধবের মুখে দিওয়ারের সংলাপ


তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে জয়াপ্রদাকে। যিনি রামপুর থেকে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। সম্প্রতি জয়াপ্রদা বিজেপিতে যোগদান করেন। তার পর বিজেপির তরফে তাঁর নাম রামপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পরই সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপির মধ্যে বাকযুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে।


রবিবার দলের এক জনসভা থেকে সেই বাকযুদ্ধ জারি রাখতে বিতর্ক বাঁধিয়ে বসলেন আজম খান। উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, জয়াপ্রদাকে রামপুরের সঙ্গে তিনিই পরিচিত করেছিলেন। ১৭ বছর পর এখন ওঁর আসল পরিচয় বোঝা যাচ্ছে।


আরও পড়ুন: সংক্রান্তির বিকেলে আঁধার নামল ফেসবুকে, বন্ধ পরিষেবা


এর পরই তিনি ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। দাবি করেন যে তিনি নাকি ১৭ দিনেই বুঝে গিয়েছিলেন জয়াপ্রদার অন্তর্বাসের রং খাকি। আজম খান যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবও।



প্রসঙ্গত, এর আগে জয়াপ্রদা ও আজম খানের মধ্যে লড়াই প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। আজম খানের বিরুদ্ধে এর আগেই একবার আপত্তিকর ছবি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন জয়াপ্রদা। তখন দুজনেই সমাজবাদী পার্টিতেই ছিলেন। ওই দলের প্রার্থীও হয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: ‘মিত্রোঁ’ সম্বোধন করে বিজেপিকে রোখার বার্তা বন্দি লালুর


এর আগে একাধিক সভায় জয়াপ্রদাও আজম খানের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু কোনওবার তাঁর সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করতে দেখা যায়নি জয়াপ্রদাকে। ফলে এবার তিনি কীভাবে উত্তর দেন এখন সেটাই দেখার।