নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় তিন দশক পর বাবরি ধ্বংসে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেন লালকৃষ্ণ আডবানি। মসজিদ ধ্বংসের পেছনে তাঁর কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না বলে জানিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। রাজনীতি থেকে তাঁকে একপ্রকার একঘরেই করে দিয়েছে দল। তার মধ্যে এটাই তাঁর একটি বড় পাওনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বাবরি ধ্বংসে 'বেকসুর' সবাই, রায়ের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ দিক একনজরে


নিজে আসতে না পারলেও ভিডিয়ো কন্ফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের রায় সবটাই শোনেন আডবানি। রায় শুনে তিনি বলেন, সিবিআই বিশেষ আদালত যে রায় দিয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সবার খুশির দিন। জয় শ্রীরাম বলে এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপি ও আমাকে এই রায় সন্দেহমুক্ত করল। এই রায় আমার কাছে আরও খুশির। কারণ নভেম্বরে আদালতের আর একটি রায়ে রাম মন্দির তৈরির পথ খুলে গিয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের মতো আমিও রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। 


উল্লেখ্য, বাবরি মামলার রায় দিয়ে গিয়ে আজ বিশেষ সিবিআই আদালত জানিয়েছে, মসজিদ ভেঙেছিল 'দুষ্কৃতীরা', উন্মত্ত জনতাকে থামাতে গিয়েও ব্যর্থ হন অভিযুক্তরা। মসজিদ ভাঙার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের ষড়যন্ত্র ছিল এমনটাও সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ থেকে প্রমাণ হয় না।


বাবরি ধ্বংসের আঠাশ বছর পর এই রায়ের ফলে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে আডডবানি ছাড়াও মুক্তি পেলেন  মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতীরা। বিশেষ সিবিআই আদালত আজ জানিয়েছে বাবরি মসজিদ ধ্বংস পরিকল্পনা করে হয়নি। অভিযুক্ত ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বপক্ষে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফোটো ও অডিয়োর সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি সিবিআই। যারা মসজিদের গম্বুজের ওপরে উঠেছিল তারা দুষ্কৃতী। ঘটনার সময় নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের অডিয়ো স্পষ্ট নয়।


আরও পড়ুন-'তাড়াতাড়ি এসো'! মাকে পুড়িয়ে মারছে ঠাকুমা, ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে মামাদের ফোন করল খুদে


কী অভিযোগ ছিল আডবানিদের বিরুদ্ধে?


বাবরি মামলায় ৩২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁরা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং করসেবকদের উস্কানি দিয়েছিলেন।


অভিযোগ ছিল, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি ভাঙার সময়ে মসজিদ চত্বরে তৈরি মঞ্চে ছিলেন আডবানি, যোশী, উমা ভারতীরা। তদন্ত জানানো হয় মঞ্চ থেকে করসেবকদের উত্তেজিত করেছিলেন বিজেপি নেতারা।


গত ২৪ জুলাই ভিডিয়ো কন্ফারেন্সের মাধ্যমে নিজের বয়ান রেকর্ড করেন আডবানি। সেখানে তাঁকে ১০০ প্রশ্ন করেন সিবিআই বিচারক।  তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আডবানি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সশরীরে হাজিরার পরিবর্তে ভিডিয়ো কন্ফারেন্স আদালতের কাজে যোগ দেন তিনি।