'তাড়াতাড়ি এসো'! মাকে পুড়িয়ে মারছে ঠাকুমা, ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে মামাদের ফোন করল খুদে
জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধুর নাম নূপুর সাহা (৩৫)। প্রায় ১১ বছর আগে মগরার সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা নূপুরের সঙ্গে বিবাহ হয় মগরার জয়পুরের বাসিন্দা তাপস সাহার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলেন তাঁর শাশুড়ি। আর এই ভয়াবহ দৃশ্য থেকেই ভয়ে কার্যত হতবাক খুদে। তড়ঘড়ি ফোন করে মামাদের ডেকে আনল ৮ বছরের শিশু। গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলীর মগরা থানার অন্তর্গত ষষ্ঠীতলা জয়পুরে।
গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধুর জবানবন্দি প্রকাশ্যে আসতেই হাড়হিম সকলের। হাসপাতালের বেডে স্বল্প কয়েকঘন্টা লড়াইয়ের পর অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে ওই মহিলা।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধুর নাম নূপুর সাহা (৩৫)। প্রায় ১১ বছর আগে মগরার সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা নূপুরের সঙ্গে বিবাহ হয় মগরার জয়পুরের বাসিন্দা তাপস সাহার। তাপস পুরনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করে। তাঁদের ৮ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হত। এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
অভিযোগ গতকাল, শাশুড়ির সঙ্গে বিবাদের জেরে গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁর শাশুড়ি বেলা সাহা। এই দৃশ্য দেখেই ভয় পেয়ে মামাদের ফোন করে খুদে। ফোন পেয়ে ছুটে আসে নূপুরের ভাই ও বাপের বাড়ির লোকেরা। এরপর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বিছানা থেকে উদ্ধার করা হয় নূপুরকে।
তখনই নূপুরের জবানবন্দি মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে তাঁর বাপের বাড়ির লোক। এরপর তড়িঘড়ি নূপুরকে প্রথমে মগরা গ্রামীন হাসপাতাল ও পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ ভোরে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নুপুরের। তাঁর পরিবারে বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়ি বেলা ও স্বামী তাপস সাহাকে গ্রেফতার করেছে মগরা থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মেলেনি নির্যাতিতাক শ্বশুর সন্তোষ সাহার। ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।