দিল্লিতে পা রেখেই ভারসাম্যের রাজনীতি মমতার, সেন্ট্রাল হলে মমতা-সোনিয়া সাক্ষাৎ, আজ বৈঠকে মোদী-মমতা
রাজধানীতে গিয়ে শ্যাম ও কূল, দুই-ই ধরে রাখার চেষ্টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মোদীর সঙ্গে বৈঠক। তার আগে গতকাল অ-বিজেপি দলগুলির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সংসদের সেন্ট্রাল হলে মমতা-সোনিয়া একে অন্যকে ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়।
ব্যুরো: রাজধানীতে গিয়ে শ্যাম ও কূল, দুই-ই ধরে রাখার চেষ্টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মোদীর সঙ্গে বৈঠক। তার আগে গতকাল অ-বিজেপি দলগুলির নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সংসদের সেন্ট্রাল হলে মমতা-সোনিয়া একে অন্যকে ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়।
মার্চে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ মাসের মাথায় বুধবার আবার রাজধানীতেই দেখা হচ্ছে দু-জনের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। কিন্তু, বিরোধীরা যে বলছেন, এ বৈঠক যত না প্রশাসনিক, তার চেয়ে ঢের বেশি রাজনৈতিক! মোদী-মমতা এখন কাছাকাছি। এই প্রচারে জল ঢালার কৌশলটা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সংসদে দলের অফিসে এক এক করে অ-বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। এনসিপির শরদ পওয়ার, জেডিইউ-এর শরদ যাদব, বিজেডির ভর্তৃহরি মহতাবের সঙ্গে কথা হল মমতার। এলেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদও। তাঁর সঙ্গে একান্তে প্রায় চল্লিশ মিনিট কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোনিয়াকে মমতা বলেন, আপনি যেভাবে লড়াই করছেন তা দেখার মতো। উত্তরে সোনিয়া বলেন, মমতাকে দেখেই তিনি লড়াই করা শিখেছেন। এইসময়, রাহুল গান্ধীকেও ডেকে নেন সোনিয়া। তাঁর সঙ্গেও মমতার কথা হয়।
পুরো বিষয়টি ফলো করে গিয়েছে বিজেপি। তারা কি চিন্তিত? দিল্লিতে পা রেখে ভারসাম্যের রাজনীতির রাস্তাতেই হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে সারদায় সিবিআই অন্যদিকে সংসদে বিল পাশের তাড়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল-বিজেপি কোনও দলই কোনও দলের সঙ্গে খুব একটা সংঘাতে যেতে চাইছে না। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর ফলেই মোদীর সঙ্গে ঘনঘন বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে মমতাকে। মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরও সংখ্যালঘু সমাজের কাছে সদর্থক বার্তা দিতে অ-বিজেপি দলগুলির সঙ্গেও কথা বলছেন তিনি।
মঙ্গলবারই দিল্লিতে বামেদের ধর্নামঞ্চে গিয়েছে কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের কাছাকাছি আসা বন্ধ করতে সোনিয়াকে বন্ধুত্বের বার্তা দিতে ছাড়ছেন না মমতা। কংগ্রেস ও অ-বিজেপি দলগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়ে দর কষাকষির লড়াইয়ে বিজেপিকে চাপে রাখার কাজটাও সেরে ফেলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে বিজেপির প্রবল প্রতিপক্ষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও এ দিন ডেরেক ও ব্রায়ানের বাড়িতে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান মমতা। মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার তাঁর শরদ পওয়ারের বাড়ি যাওয়ার কথা।