নীল সাইটে আলগা হল লাল ফিতের ফাঁস, ৭০০টি পর্ণ সাইটে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল টেলিকম মন্ত্রক
জমি বিলের পর পর্ণ সাইট নিষেধাজ্ঞা বিতর্ক। পিছু হঠল কেন্দ্র। চাপে পড়ে প্রায় ৭০০টি পর্ণ সাইটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল টেলিকম মন্ত্রক।
ব্যুরো: জমি বিলের পর পর্ণ সাইট নিষেধাজ্ঞা বিতর্ক। পিছু হঠল কেন্দ্র। চাপে পড়ে প্রায় ৭০০টি পর্ণ সাইটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল টেলিকম মন্ত্রক।
৮৫৭টি পর্ণ সাইট ব্লক করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। দেশজুড়ে বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। অনেকেই কটাক্ষের সুরে বলতে থাকেন, বর্তমান সরকারের যা পছন্দ নয়, তার ওপরই নেমে আসছে নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া। সমালোচনায় বিদ্ধ হয়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয় মোদী-সরকার। অবশেষে নীল সাইটে লাল ফিতের ফাঁস আলগা হল। চাপে পড়ে প্রায় ৭০০টি পর্ণ সাইটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কেন্দ্র। তবে শিশু পর্ণোগ্রাফি ও ব্লু ফিল্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। দুহাজার সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন মোতাবেক এক নির্দেশিকা জারি করে ৮৫৭টি পর্ণ সাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। কথা মতো কাজ। বন্ধ করে দেওয়া হয় সাইটগুলি। কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কী দেখবেন, কী দেখবেন না, তার ওপর খবরদারি করার সরকার কে? তবে কি এবার নাগরিকের বেডরুমেও উঁকি দেবে রাষ্ট্র? যদি সে উদ্দেশ্য নাই থাকে, তাহলে এমন সিদ্ধান্ত কেন? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকেই। সোস্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলিতে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। সপ্তাহখানেক আগে সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতিও তাঁর এক রায়ে বলেন, নিজের বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে বসে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের পর্ণোগ্রাফি দেখার মৌলির অধিকার রয়েছে। এরপরেও কেন নিষেধাজ্ঞা? অসংখ্য মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, নীতি পুলিস কিংবা জ্যাঠামশাইগিরির জন্যই কি ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করা হয়? সমালোচনার ঝড় সুনামিতে পরিণত হতেই প্রমাদ গোনে সরকার। তুলে নেওয়া হল নিষেধাজ্ঞা।