বাসা বেঁধেছেন মগডালে! `বাঁদর-বাবা`কে দেখতে আসছেন হাজার হাজার মানুষ
স্থানীয় লোকেরা তাঁর নাম দিয়েছেন বন্দরিয়া বাবা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গাছের সব থেকে উঁচু ডালে বসে রয়েছেন তিনি। পাশে লাল রঙের কাপড় রোদে শুকোতে দেওয়া। কখনও কখনও মোবাইল কানে দিয়ে কথা বলছেন। কখনও সেই মগডালে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়ছেন। খাওয়া-দাওয়াও সেই ডালে বসেই। বাঁদর আর মানুষের কি তবে কোনও ফারাক রইল না! যে কাজ বাঁদরের সাধ্য, সেই কাজ তিনি করে দেখাচ্ছেন। গাছের ডালে বসে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয় লোকেরা তাঁর নাম দিয়েছেন বন্দরিয়া বাবা। অর্থাত্, বাঁদর-বাবা।
আরও পড়ুন- রাস্তায় নমাজ পড়া বন্ধ করল যোগী সরকার
অনেকেই মনে করছেন, নরবানরের অবতার এই বাবা। পরণে সাধুর বেশ। গলায় একাধিক মালা। বয়স ষাটের বেশি। উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচের সুজোলিতে এমন এক বাবার দেখা মিলেছে। সেই বাবার দাবি, ''হনুমানজির কৃপা রয়েছে আমার উপর। আমি গাছেই থাকি। এখানেই থাকি, খাই, শুয়ে থাকি। আবার গাছের ডালে বসেই ধ্যান ও হোম যজ্ঞ করি।'' স্থানীয় কিছু মানুষের দাবি, তিনি পিলিভিত জেলার মানুষ। বেশ কয়েক বছর হরিদ্বারে ছিলেন এই বাবা। কিন্তু কেউই তাঁর আসল নাম বলতে পারছেন না। মাস চারেক আগে বাহারাইচে আসেন এই বাবা। কিন্তু প্রথমে তাঁকে পুলিস সেখানে ঘাঁটি গড়তে বাধা দেয়। সেই সময় বাহারাইচ ছেড়ে চলে যান বাঁদর-বাবা। কিছুদিন পর আবার ফিরে এসে আশ্রয় নেন একটি গাছের ডালে।
আরও পড়ুন- দেশ ছাড়ার চেষ্টা, বিমানবন্দরে আটক শাহ ফয়জল, পাঠানো হল শ্রীনগরে
রোজ হাজার হাজার মানুষ এই বাঁদর-বাবাকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। বাবার এই উত্তরোত্তর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি স্থানীয় পুলিস প্রশাসনের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় পুলিস আধিকারিকরা একাধিকবার বাবাকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই বাবা গাছ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে পুলিসকর্মীদের ঠেকিয়ে দিয়েছেন।