নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭০তম সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে তিনজনকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও গায়ক ভূপেন হাজারিকার সঙ্গে ভারতরত্ন দেওয়া হচ্ছে নানাজি দেশমুখকেও। ভূপেন হাজারিকার মতো তিনিও মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পদ্মশ্রী ফেরালেন লেখিকা গীতা মেহতা


তার পর থেকেই দেশের অনেক জানতে চাইছেন কে এই নানাজি দেশমুখ? ২০১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন নানাজি। তিনি ছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবক। এর আগে ১৯৯৯ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ দেওয়া হয়েছিল। তিনিই দ্বিতীয় স্বয়ংসেবক, যিনি ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন।


আরও পড়ুন: দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন পাচ্ছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়


জানা গিয়েছে, তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিচারধারায় বদল এনেছিলেন। তাঁর মত ছিল, ''আমি নিজের নয়, নিজের লোকের জন্য।'' ১৯৮৯ সালে নানাজি রামের তপস্যার ক্ষেত্র চিত্রকূটকে নিজের কর্মভূমি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।


তাঁর যুক্তি ছিল, রামচন্দ্র চিত্রকূটে গিয়ে দলিত ও আদিবাসীদের সঙ্গে ছিলেন। সেই পথ অনুসরণ করে তিনিও পারবেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত চিত্রকূটেই ছিলেন।


আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের হাত ধরেই নানাজির স্বয়ংসেবক হওয়া। ১৯৪০ সালে হেডগেওয়ারের প্রয়াণের পর তিনি সংঘকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন।


আরও পড়ুন: প্রণবের ভারতরত্ন ঘোষণার পর 'দাদা'কে কী বললেন মোদী?


মহারাষ্ট্রের দিংগালী জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে ১৯১৬ সালের ১১ অক্টোবর জন্ম হয়েছিল। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তাঁর সঙ্গে হেডগেওয়ারের সাক্ষাত্ হয়। তার পর থেকেই তিনি সংঘের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর গোয়ালকর তাঁকে উত্তরপ্রদেশে পাঠান। সেখানে তিনি জনসংঘের ভিত মজবুত করার কাজ অগ্রণী ভূমিকা নেন।


আরও পড়ুন: দেশবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভারতরত্ন গ্রহণের কথা জানালেন প্রণব


এছাড়া সরস্বতী শিশুমন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তাঁর হাত ধরে। ১৯৪৭ সালে আরএসএসের মুখপত্র পঞ্চজন্য শুরু হয়েছিল। শুরুর দিকে তাঁর উপর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। মোরারজি দেশাই সরকারের মন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়েও তিনি তা প্রত্যাখান করেন।