নিজস্ব প্রতিবেদন: ইঙ্গিত ছিলই, এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে দিল, এনডিএ-তে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝি। নভেম্বরে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। আগেই বিরোধীদের 'মহাগঠবন্ধন' ছেড়ে বেরিয়ে আসে জিতনরামের 'হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা' (হাম)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস- আরজেডি নেতৃত্বাধীন 'মহাগঠবন্ধন' থেকে বেরিয়ে আসার অন্যতম কারণ ছিল আসন ভাগাভাগি। প্রাথমিক আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল মোট বিধানসভা আসন ২৪৩টির মধ্যে আরজেডি ১৫২ এবং কংগ্রেস ৯১টি আসনে লড়বে। এরমধ্যে কংগ্রেস তাদের আসনের ভাগ দেবে হাম-কে। এই সমঝোতায় রাজি ছিলেন না জিতনরাম। দলের মুখপাত্র দানিশ রিজওয়ান জানিয়েছিলেন, বার বার দাবি জানানো হয়, মহাগঠবন্ধন সমন্বয় কমিটি তৈরি করার। রাহুল আশ্বাস দিলেও এখনও তৈরি হয়নি। ওই জোটের মধ্যে দল গুরুত্ব হারাচ্ছিল অভিযোগ তুলে 'মহাগঠবন্ধন' বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় হাম।


আরও পড়ুন-বাংলায় চাকরি পাচ্ছেন না, শেষমেশ নবান্ন অভিযানে ভিনরাজ্যের নার্সিং পড়ুয়ারা


সূত্রে খবর, একদা 'শত্রু' নীতীশ কুমারই চাইছেন, ফের জিতেনকে এনডিএ-তে ফেরানোর। জিতনরাম দলিত নেতা। পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে এনডিএ-র মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার মূলে রয়েছে রামবিলাস পাসওয়ানের এলজিপি। জানা যাচ্ছে, বিজেপির কাছে গতবারের থেকে আরও বেশি আসনে লড়তে চাইছেন নীতীশ। কিন্তু বাধ সাধছেন পাসওয়ান। তিনি হাবভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, জনপ্রিয় দলিত নেতা হিসাবে বিহারে তাঁর ওজন কতটা। তাহলে কি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টায় জিতনরামকে ফেরাতে চাইছেন নীতীশ। এমনই গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, লালু প্রসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০১৫ সালের বিধানসভায়  আরজেডি এবং জেডিউ ১০১টি আসনে লড়াই করেছিল। কংগ্রেস লড়েছিল ৪১টিতে।


আরও পড়ুন-ফের ডিজিটাল স্ট্রাইক! এবার ভারতে নিষিদ্ধ হল PUBG-সহ মোট ১১৮টি চিনা অ্যাপ


২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে একা লড়েছিল নীতীশ কুমারের জেডিইউ। প্রত্যাশিত ফল না করতে পারায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন নীতীশ। সেই সময়ে ওই পদে বসান তাঁর অনুগামী জিতনরামকে। কিন্তু  গঙ্গা দিয়ে বেশি জল গড়ানোর আগেই জিতনরামকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। এরপরই জিতনরাম জেডিইউ ছেড়ে নতুন দল 'হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা' তৈরি করেন। ২০১৫ সালে বিজেপি সমর্থনে বিধানসভা নির্বাচনে লড়লে তিনি ছাড়া আর কেউ বিধায়ক হতে পারেননি। ২০১৭ সালে নীতীশ এনডিএ সামলি হওয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়েন জিতন। গত বছর এনডিএ-ছেড়ে শেষমেশ আশ্রয় খুঁজেছিলেন 'মহাগঠবন্ধনে'। ভোটের মুখে ফের ঠিকানা বদল জিতনরামের।