জলে হাঁস সাঁতার কাটলে অক্সিজেন বাড়ে, ফের ঘেঁটে ঘ বিপ্লব দেব
মহাভারতের যুগে ইন্টারনেটের পর ফের আলটপকা মন্তব্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফেরাতে বিনামূল্যে হাঁসের বাচ্চা বিলোনোর ঘোষণা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এনিয়ে বলতে গিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। বিপ্লব দেবের দাবি, হাঁস পালন করলে অতিরিক্ত লাভ হয়। অক্সিজেন বাড়ে জলে।
রুদ্রসাগরে একটি অনুষ্ঠানে বিপ্লব দেব বলেন,''গ্রামবাসীদের ৫০,০০০ হাঁসের বাচ্চা বিতরণের পরিকল্পনা করেছে ত্রিপুরা সরকার। আপনারা হাঁস প্রতিপালন করুন। হাঁসের ডিম প্রোটিনের অভাব দূর করে। ২৫-৩০ বছর আগে বাড়ি বাড়ি হাঁস ও গো-পালন হত। কিন্তু সেই প্রথা তুলে দিয়েছে বাম সরকার। হাঁস প্রতিপালন করতে সময় দিতে হয়। ওরা বিকেলে লোকেদের মিছিলে ধরে নিয়ে যেত''।
এরপর বিপ্লব দেবের দাবি, হাঁস প্রতিপালন করলে অতিরিক্ত সুবিধাও মেলে। হাঁস জলে সাঁতার কাটলে অক্সিজেন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত অক্সিজেন পায় মাছরাও। এতে মাছেদের বৃদ্ধিও ঘটে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির নেপথ্যে বৈজ্ঞানিক যুক্তি কি রয়েছে?
ত্রিপুরার যুক্তিবাদী বিকাশ মঞ্চের মিহির লাল রায় বলেন, ''আলটপকা মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই''। উল্লেখ্য, কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গড়তে বিজ্ঞানের প্রচার চালায় এই সংগঠন। ২০১০ সাল থেকে সেটি রাজ্যে কাজ করছে।
তবে পশুপালনে সরকার যে জোর দিচ্ছে তার প্রশংসা করেছেন মিহিরলাল রায়। তাঁর কথায়, ''কেন এমন মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, বুঝতে পারছি না। এব্যাপারে সম্যক জ্ঞান থাকা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর''।
মুথ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের সমালোচনা করেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের তাপস দে বলেন, ''হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্ভর করছে, তাই যুক্তিবাদী মন্তব্য করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর''। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের কথায়,''আমি জানি না কীভাবে হাঁসেরা জলে অক্সিজেন বাড়াতে পারে। এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না''।
এটাই প্রথম নয়, মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার কয়েক মাসের মধ্যে একাধিক মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন বিপ্লব দেব। বলেছিলেন, মহাভারতের যুগেও ইন্টারনেট পরিষেবা ছিল। কখনও আবার বিপ্লব বলেছেন, প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী জায়না হেডেনের যোগ্যতা ছিল না। আবার কখনও বলেছেন, সমুদ্রের উপরে হেঁটে জাপানে গিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ।
আরও পড়ুন- নাগরিকপঞ্জির খসড়া ত্রুটিপূর্ণ নয়, নিশ্চিত হতে নমুনা সমীক্ষার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের