Mob lynching: `গণপিটুনির পিতৃপুরুষ`, রাহুলকে নিশানা করতে গিয়ে রাজীব গান্ধীকে টেনে আনল বিজেপি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি এনিয়ে মুখ খোলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি আমলেই প্রথম শোনা গিয়েছিল গণপিটুনি-র মতো শব্দবন্ধ। রাহুল গান্ধীকে এর পাল্টা দিতে গিয়ে ১৯৯৮৪-র শিখ বিরোধী হিংসা ও রাজীব গান্ধীর কথা টেনে আনল বিজেপি।
সম্প্রতি শিখ ধর্মকে অবমাননার অভিযোগে পঞ্জাবে পিটিয়ে মারা হয়েছে ২ যুবককে। এনিয়ে এক টুইটে রাহুল গান্ধী লেখেন, '২০১৪ সালের আগে গণপিটুনি কথাটা দেশে অজানা ছিল। থ্যাঙ্ক ইউ মোদীজি।'
রাহুলের ওই টুইটের পরই তেতে ওঠে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ১৯৯৪ সালে দিল্লিতে শিখ বিরোধী হিংসায় শয়ে শয়ে শিখকে হত্যা করা হয়েছিল। এর জন্য দায়ী তত্কালীন কিছু কংগ্রেস নেতা। ১৯৮৯ সালে ভাগলপুরেরও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। শিখদের গলায় টায়ার ঝুলিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব গণপিটুনি নয়!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি এনিয়ে মুখ খোলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। এট টুইটে তিনি লেখেন, 'রাজীব গান্ধীকে দেখুন। উনি গণপিটুনির পিতৃপুরুষ। কংগ্রেস একসময় রাস্তায় নেমে স্লোগান দিয়েছিল, খুনের বদলা খুন', মহিলাদের ধর্ষণ করেছিল, গলায় জ্বলন্ত টায়ার ঝুলিয়ে শিখদের খুন করা হয়েছিল, কুকুরে ছিঁড়ে খেয়েছিল মৃতদেহ।
আরও পড়ুন- পরকীয়ায় 'লিপ্ত' স্ত্রী, আদালত চত্বরেই স্বামী ঘটালেন ভয়ঙ্কর কাণ্ড!
টুইটে রাজীব গান্ধীকে নিশানা করার পাশাপাশি রাজীব গান্ধীর একটি বক্তব্যের অংশও শেয়ার করেন অমিত মালব্য। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সময়ের উল্লেখ করে তিনি লেখেন, রাজীব গান্ধী একসময় বলেছিলেন বড় কোনও গাছ যখন পড়ে তখন মাটি কেঁপে ওঠে। গত ১৯৬৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দেশে যত দাঙ্গা হয়েছে তার একটি হিসেবও দেন মালব্য।