চেন্নাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ রাহুল, কলকাতায় কেন নাম নিলেন না? স্টালিনকে প্রশ্ন বিজেপির
লোকসভা ভোটের পরই প্রধানমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা, এক রা বিরোধী নেতানেত্রীদের মুখে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চেন্নাইয়ে কংগ্রেস সভাপতিকে পাশে নিয়ে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী রাহুল গান্ধী। কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশে সে পথে হাঁটলেনই না স্টালিন। ডিএমকে নেতার এমন অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, চেন্নাইয়ে বড় মুখ করে রাহুলকে বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে দিলেন। কলকাতায় গিয়ে সে কথাও মুখেও আনলেন না।
শনিবার কলকাতায় তৃণমূলের ব্রিগেডে হাজির ছিলেন এমকে স্টালিন। আর সব বক্তার মতো মোদী হঠানোর ডাক দিয়েছেন করুণানিধির ছেলে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। ঘটনা হল, শনিবার ব্রিগেডের মঞ্চে সবার মুখে এক রা। ভোটের পরই প্রধানমন্ত্রীর মুখ বাছা হবে। বিরোধীদের এই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কিন্তু স্টালিন ইতিমধ্যেই রাহুলকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছেন। তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি তমিলসাই সুন্দররাজনের কথায়,''স্টালিন চেন্নাইয়ে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুলের নাম বলেছিলেন। কিন্তু কলকাতায় তো সেটা বললেন না''। সুন্দররাজন বলেন,''বিরোধীদের এমন দ্বিচারিতা থেকে বিরোধীদের রূপরেখা স্পষ্ট হচ্ছে। স্টালিন নিজের অবস্থানে অনড় থাকলে কলকাতায় ২০ দলের সামনে কেন রাহুলের নাম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করলেন না'?
স্টালিন সাফাই দিয়েছেন,''চেন্নাইয়ে ডিএমকে-র সভায় রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেছিলাম। তখন সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করেছিল, কেন এমনটা করলাম? এখন জিজ্ঞেস করছে, কেন রাহুলের নাম নিলাম না। এটা বেশ মজার''। ডিএমকে নেতার কথায়, ''তামিলনাড়ুবাসীর আবেগের কথা ভেবে রাহুলের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করা হবে। এটা ওদের ইচ্ছা''।
DMK President MK Stalin: I had said this about Rahul Gandhi in Chennai, what was wrong in it? It is the wish & aspiration of the people in Tamil Nadu. But in West Bengal they have decided to finalise this after the election. It is their wish. https://t.co/1POxIl4olA
— ANI (@ANI) January 20, 2019
ঘটনা হল, শনিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে কোন নেতার মুখেই আসেনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম। সকলেই একসুরে ঘোষণা করেছেন, ভোটের ফলপ্রকাশের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অখিলেশ যাদব বলেছিলেন, জনতাই ঠিক করে দেবে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের পরই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তৃণমূল নেত্রীও ঘোষণা করেন, বিরোধীদের অনেক নেতা রয়েছেন। লোকসভা ভোটের পর সকলে মিলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ বাছা হবে। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও স্পষ্ট করেন, যা হওয়ার ভোটের পরই হবে। বলে রাখি, কংগ্রেস এর আগে রাহুল গান্ধীর নাম ভাসিয়েছিল। কিন্তু বিরোধীদের আপত্তিতে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী মুখ মমতা ? বকরি ইদে বাঁচলে তো মহরমে নাচবে: খাড়গে