নিজস্ব প্রতিবেদন: আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব নিলেন অমিত শাহ। এই প্রথম ক্যাবিনেট মন্ত্রী হলেন তিনি। গান্ধীনগর থেকে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে জিতে একেবারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ হয়ে গেলেন বিজেপির সভাপতি। প্রথম মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পদ থেকে রাজনাথ সিংকে সরিয়ে তাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়। শুরু থেকেই জল্পনা ছিল, অমিত শাহ এ বার ক্যাবিনেট মন্ত্রী হতে চলেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়া নিয়ে জল্পনা ছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অমিত শাহের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে নরেন্দ্র মোদীর। যা পরবর্তীকালে ছায়াসঙ্গীতে পরিণত হয়। বিজেপির কর্মকর্তা থেকে তুলে নিয়ে মোদী তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেন। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন অমিত শাহ। এর পর এবারের নির্বাচনে গান্ধীনগর থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর ওই কেন্দ্র থেকে জিততেই জল্পনা তৈরি হয় শাহের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়ার। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে গোটা দেশে বিজেপির সম্প্রসারণে মোদীর পাশাপাশি অমিত শাহেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে, তাঁকে বিজেপির ‘চাণক্য’ বলে মনে করেন দলেরই কর্মীরা।


আরও পড়ুন- কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা নির্বাচিত হলেন সনিয়াই


সূত্রে খবর, নরেন্দ্র মোদী কার্যত নিজের পছন্দের মতো ক্যাবিনেট সাজিয়েছেন। যেখানে সঙ্ঘের মতামত জায়গা পায়নি। সাংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ নিতিন গডকড়ীকে অর্থমন্ত্রক দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল আরএসএস। তাদের ওই প্রস্তাব উপেক্ষা করে নির্মলা সীতারামনকে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রী করেন প্রাক্তন বিদেশসচিব সুব্রহ্ম্যণম জয়শঙ্করকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান রাজনাথ সিং। অর্থাত্ প্রধানমন্ত্রীর চার গুরুত্বপূর্ণ পদে আরএসএস-এর প্রভাব নেই। মোদীসরকার ২-এ যা নজিরবিহীন বার্তা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।