বিপজ্জনক প্রতিবাদ
ঝাঁকুনি দিয়ে বিমান অবতরণ। আর তারপরই মাইক্রোফোনে ভেসে এল ক্যাপ্টেনের গলা। যাত্রীদের উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়ে জানানো হল তাঁদের দুরবস্থার কথা। বেতন নিয়ে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আপাতত এই ধরনের বিপজ্জনক পন্থা নিয়েছেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের বেশ কিছু পাইলট।
ঝাঁকুনি দিয়ে বিমান অবতরণ। আর তারপরই মাইক্রোফোনে ভেসে এল ক্যাপ্টেনের গলা। যাত্রীদের উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়ে জানানো হল তাঁদের দুরবস্থার কথা। বেতন নিয়ে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আপাতত এই ধরনের বিপজ্জনক পন্থা নিয়েছেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের বেশ কিছু পাইলট। বেতন পান না দু`মাস ধরে। অথচ কাজে কামাই নেই। তাই নিয়মিত কাজের মধ্যেইই ক্ষোভ প্রকাশের এক মারাত্মক পন্থা খুঁজে বার করেছেন তাঁরা। ক্যাপ্টেন নিজেই প্রথমে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন, এবং তারপর তাঁদের দুরবস্থার কথা, বেতন না পেয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান যাত্রীদের। সঙ্গে এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়, শুধুমাত্র কর্তব্যের খাতিরেই তাঁরা এখনও যাত্রীদের পরিষেবা দিচ্ছেন।
এই বিপজ্জনক ঘটনার কথা জানাজানি হতেই কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে কিংফিশার কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত আর্থিক সঙ্কটের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরেই সংবাদ শিরোনামে কিংফিশার কর্ণধার বিজয় মালিয়া। সম্প্রতি ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষমতাও হারায় এই এয়ারলাইন্স। যদিও এরই মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ফলাও করে জানিয়ে দেন, কোনওরকম সরকারি সহায়তা ছাড়াই তাঁরা এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠবেন।