ওয়েব ডেস্ক: ৭ বছরের এক স্কুল পড়ুয়ার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হল স্কুলের শৌচাগার থেকে। এই ভয়াবহ অমানবিক ঘটনা ঘটেছে গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। ঘটনায় ‌যৌন হেনস্থা ও খুনের অভি‌যোগে অশোক কুমার নামে স্কুলেরই ১ বাস কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার খবর ছড়াতেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। চলে ভাঙচুর।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, স্কুলের শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র প্রদ্যুমান ঠাকুরকে পড়ে থাকতে দেখে তারই এক সহপাঠী। সেই বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমার ওই ছাত্রকে ‌যৌন নি‌র্যাতনের চেষ্টা করে এবং তাতে সে ব্যর্থ হওয়াতেই প্রদ্যুমানকে খুন করে। অশোক কুমার ওই স্কুলে গত ৮ মাস ধরে কাজ করছিল বলে জানা গিয়েছে। 


এদিকে স্কুলের বিরুদ্ধে ছেলের মৃত্যুর খবর না জানানোর অভি‌যোগ করেছেন মৃত ছাত্র প্রদ্যুমানের বাবা বরুণ ঠাকুর। তাঁর দাবি ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়ত তাঁর ছেলেকে বাঁচানো ‌যেত। 




গুরুগ্রাম পুলিশের মুখ্য জনসং‌যোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে গ্রেফতার করা ছাড়াও ঘটনায় আরও ১০ জনকে জেরা করা হচ্ছে। মৃত ছাত্রের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি রক্তাক্ত ছুরি। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা রক্তের নমুনা ও আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখছেন।  খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ।  মৃতের বাবার অভি‌যোগের ভিত্তিতে অশোক কুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের হয়েছ।