শতরূপা কর্মকার: মঙ্গলবার তিহাড় জেলে খুন হন রোহিনী আদালতে শ্যুটআউটের অভিযুক্ত টিল্লু তাজপুরিয়া। জেল কতৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে প্রতিপক্ষ দলের সদস্য যোগেশ টুন্ডা ও তাঁর সহযোগীদের হাতেই খুন হন তিনি। দিল্লির তিহাড় জেলের নয় নম্বর সেলে বন্দি ছিলেন টিল্লু ওরফে সুনীল মান। ঠিক তার পাশের আট নম্বর সেলে বন্দি ছিলেন যোগেশ টুন্ডা। পুলিস সূত্রে খবর মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ জেলের ভিতরেই টিল্লুর উপর হমলা চালায় টুন্ডা। পরে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার জেলের ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে দোতলা থেকে টুন্ডার সহযোগীরা নীচে নেমে আসে। সেলের বিছানার চাদর পেঁচিয়ে দড়ি বানায় তাঁরা। সেই চাদর বেয়েই টিল্লুর সেলের সামনে নেমে আসে তাঁকে আক্রমণ করে। ফুটেজে দেখা যায় যে লাল রঙের টিশার্ট ও কালো শর্টস পরে অন্যদিক থেকে আসছিলেন টিল্লু। আক্রমণকারীদের দেখতে পেয়েই পাশের একটি সেলে ঢুকে পড়ে সে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, সেই সেল থেকে তাঁকে টেনে বের করে খোলা জায়গায় নিয়ে আসে হামলাকারীরা। তারপরেই চার দুষ্কৃতি মিলে টিল্লুকে কোপাতে শুরু করে।


আরও পড়ুন: Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে মর্মান্তিক ভিডিয়ো! দুই পরিবারের বিবাদে নিহত তিন মহিলা সহ ছয় জন


নিজেদের সেলের লোহার গ্রিল ভেঙে ফেলেছিল তাঁরা। সেই লোহার রড দিয়েই টিল্লু তাজপুরিয়াকে খুন করে টুন্ডা ও তাঁর সহযোগীরা। টিল্লু ও টুন্ডার দলের সংঘর্ষ দীর্ঘদিনের। জেলের মধ্যে বসেই গোগী গ্যাং-য়ের সদস্য জিতেন্দ্র যোগীকে গুলি করে মারার অভিযোগ উঠেছিল টিল্লু তাজপুরিয়ার উপরে। রোহিণী আদালতের ভিতরে জিতেন্দ্র যোগীকে মারতে সুপারি কিলার ভাড়া করেছিল টিল্লু। সেই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই টিল্লু খুনের ঘটনা ঘটে।


এই ঘটনায় চার দুষ্কৃতিকে আটক করেছে পুলিস। দিপক ওরফে তিতার, যোগেশ টুন্ডা, রাজেশ ও রিয়াজ খান। তবে তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক নাম। পুলিস জানিয়েছে ঘটনার নেপথ্যে হাত ছিল গোগী গ্যাং-য়ের গ্যাংস্টার মনজিৎ মহলের। টিল্লু তাজপুরিয়াকে মোট ৯২ বার কোপানো হয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে তিহাড় জেলের নিরাপত্তা।


আরও পড়ুন: Jawan Killed in J&K: সার্চ অপারেশনের সময় আচমকা হামলা জঙ্গিদের, রাজৌরিতে শহিদ ৫ জওয়ান


শুধুমাত্র গ্যাংস্টারই নয় তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মন্ডল, মণীশ কোঠারি, সায়গল হোসেন ও এনামুল হকও। এছাড়াও রয়েছেন দিল্লি সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, শিক্ষমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। মহিলা ওয়ার্ডে বন্দি রয়েছে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতকন্যা সুকন্যাও। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)