PM Cares নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার, অথচ তথ্য জানা যাবে না, কেন্দ্রের দাবিতে বিভ্রান্তি
পিএম কেয়ারস নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: পিএম কেয়ারস (PM Cares) তহবিল নিয়ে ফের বিভ্রান্তি ছড়াল কেন্দ্রের তথ্যে। তথ্যের অধিকার আইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে মোদী সরকার জানাল, কোভিড দান নেওয়ার জন্য পিএম কেয়ারস তহবিল গঠন করে সরকার। সরকারই তহবিলের নিয়ন্ত্রক। তবে আরটিআই-র আওতায় পড়বে না। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, সরকারি সংস্থা অথচ তথ্য জানার অধিকার আইনভূক্ত নয়?
আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছে,'পিএম কেয়ারস তহবিল নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। ভারত সরকার এটি প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় নেই। কারণ তহবিলে ব্যক্তিগত অর্থ নেওয়া হয়েছে।' বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা, কর্পোরেট, বিদেশি নাগরিক,বিদেশি সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছ থেকে অর্থ এসেছে পিএম কেয়ারসে। কোনও সরকারি সংস্থার থেকে টাকা আসেনি। সংস্থার পরিচালনে ট্রাস্টি থাকায় তথ্য জানার অধিকার আইনের ২(এইচ) ধারা অনুযায়ী, পিএম কেয়ারস আরটিআই ভূক্ত নয়। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠান বলা যাবে না। স্বাভাবিকভাবে পিএম কেয়ারস নিয়ে অস্পষ্টতা বাড়ছে। পিএম কেয়ারস ট্রাস্ট রেজিস্ট্রার করা হয়েছে দিল্লির রেভিনিউ বিভাগে। প্রধানমন্ত্রী চেয়ারপার্সন ও একাধিক মন্ত্রী ট্রাস্টি। কিন্তু পিএম কেয়ারস ওয়েবসাইট সম্প্রতি জানায়, পিএম কেয়ারস ফান্ড সরকারি সংস্থা নয়।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় জনসাধারণের পিএম কেয়ারসে আর্থিক দানের আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই ফান্ড নিয়ে শুরু থেকে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তারা দাবি করেছে, পিএম কেয়ারসে কত টাকা পড়েছে, কোথায় খরচ হয়েছে তার যাবতীয় হিসাব প্রকাশ করুক কেন্দ্র সরকার।