গ্রামে জলসঙ্কট মেটাতে ২৭ বছর ধরে পুকুর খুঁড়ে হিরো ছত্তিসগড়ের শ্যামলাল

Updated By: Sep 3, 2017, 10:53 AM IST
গ্রামে জলসঙ্কট মেটাতে ২৭ বছর ধরে পুকুর খুঁড়ে হিরো ছত্তিসগড়ের শ্যামলাল
ছবিটি প্রতীকী

ওয়েব ডেস্ক : প্রত্যন্ত গ্রামে জলসঙ্কট মেটাতে অমানুষিক পরিশ্রম। ২৭ বছর ধরে পুকুর খুঁড়ে হিরো ছত্তিসগড়ের সাজাপাহাড় গ্রামের শ্যামলাল। মিটেছে পানীয় জলের সমস্যা। প্রশাসনের আর্থিক সাহায্যের দিকে তাকিয়ে আদিবাসী যুবক।

স্ত্রীকে কতটা ভালবাসলে স্রেফ হাতুড়ি মেরে পাহাড় ভেঙে ফেলতে পারে একটা মানুষ! প্রিয়জনের শোকে পাগল হয়ে ২২ বছর ধরে পাহাড় ভেঙে রাস্তা তৈরি করতে পারে কেউ? বিহারের দশরথ মানঝি সেই অসাধ্য সাধন করেছিলেন। কোনও বীরত্ব দেখাতে নয়, স্ত্রীর মৃত্যুশোকে পাগল হয়ে। দশরথের স্ত্রী ফাগুনিয়া দেবী ১২০ মিটার উঁচু পাহাড় গেহলৌর থেকে পড়ে মারা যান।

আরও পড়ুন- 'স্বচ্ছ ভারত'-এর শৌচালয়ে চলছে রান্নাবান্না, দেখে চক্ষু চড়কগাছ সরকারি কর্তার

এ আরেক দশরথের কাহিনি। গ্রামের তীব্র জলসঙ্কট মেটাতে ২৭ বছর ধরে একা হাতে পুকুর কেটে ফেলেছেন ছত্তিসগড়ের শ্যামলাল। ছত্তিসগ়ড়ের কোরিয়া জেলার সাজা পাহাড় গ্রাম। পানীয় জলের উত্স বলতে মাত্র কয়েকটা কুয়ো। তাতে গোটা গ্রামের জলের চাহিদা মেটে না। নির্বিকার ছিল প্রশাসন। শেষে উপায় খুঁজে বের করে বছর পনেরোর এক আদিবাসী ছেলে। ২৭ বছরের চেষ্টায় একার হাতে গ্রামের মাঝে পুকুর খুঁড়ে জলের সমস্যা মিটিয়েছে সে। এখন তাঁর বয়স ৪২।

অনেকে ভেবেছিলেন পাগলামি। অনেক টিপ্পনিও শুনতে হয় তাঁকে। সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। তবুও দমেননি শ্যামলাল। গ্রামের মাঝে প্রায় ১ একর জায়গা নিয়ে ১৫ ফুট গভীর একটি পুকুর খুঁড়ে ফেলেছেন শ্যামলাল। সেই জলে তৃষ্ণা মিটেছে গোটা গ্রামের। গোটা সাজা পাহাড়ের কাছে শ্যামলাল এখন হিরো। শ্যামলালের কাজের প্রশংসায় জেলাশাসক নরেন্দ্র দুগ্গলও। ২৭ বছর ধরে অক্লান্ত শ্যামলাল। এখনও থামেননি। পাহাড়প্রমাণ বোঝা কাঁধে নিয়েই এগিয়ে চলেছেন তিনি।

.