দোষী ব্যক্তির যৌন ক্ষমতা নষ্ট করা হোক ধর্ষণের শাস্তি, মত কংগ্রেসের
ধর্ষণের ঘটনায় তিরিশ বছর পর্যন্ত কারাবাস ও ক্ষেত্র বিশেষে দোষী ব্যক্তির যৌন সংসর্গের ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া। ধর্ষণ রোধে আইন পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসের তৈরি করা খসড়ায় থাকছে এই দুটি বিষয়। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার পর তা ভার্মা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের পর দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য দেশজুড়ে কড়া আইন চালুর দাবি উঠেছে। চাপে পড়ে ফৌজদারি আইন সংশোধনের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জেএস ভার্মার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। এই কমিটির কাছে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক মারফত সুপারিশ পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ জন্য কংগ্রেসের তরফে একটি খসড়া তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ধর্ষণের ঘটনায় তিরিশ বছর পর্যন্ত কারাবাস ও ক্ষেত্র বিশেষে দোষী ব্যক্তির যৌন সংসর্গের ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া। ধর্ষণ রোধে আইন পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসের তৈরি করা খসড়ায় থাকছে এই দুটি বিষয়। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার পর তা ভার্মা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের পর দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য দেশজুড়ে কড়া আইন চালুর দাবি উঠেছে। চাপে পড়ে ফৌজদারি আইন সংশোধনের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জেএস ভার্মার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে কেন্দ্র। এই কমিটির কাছে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক মারফত সুপারিশ পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ জন্য কংগ্রেসের তরফে একটি খসড়া তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তবে, দলীয় সূত্রে খবর, ধর্ষণে দোষী প্রমাণিত হলে তিরিশ বছর পর্যন্ত কারাবাস ও বিরলতম ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তির যৌন সংসর্গের ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়ার প্রস্তাব থাকছে ওই খসড়ায়।
দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের বয়স আঠারো পেরোতে কয়েক মাস বাকি। ফলে, প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে একই আইনে তার বিচার হওয়া সম্ভব নয়। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি উঠেছে, এইসব অপরাধের ক্ষেত্রে বয়স আঠারো থেকে কমিয়ে পনেরো করা হোক।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তৈরি করা ধর্ষণ-বিরোধী আইনের খসড়ায়, জুভেনাইলস অ্যাক্টের ক্ষেত্রে বয়স কমিয়ে আনার সুপারিশ থাকতে পারে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে তিন মাসের মধ্যে ধর্ষণের মামলার নিষ্পত্তির কথাও সেখানে বলা হবে।
ধর্ষণ রোধে কড়া আইন তৈরির জন্য সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় উপদেষ্টা পর্ষদকেও সামিল করা হতে পারে।
ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন চালুর জন্য ফের সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
১৯৭৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি প্রথম ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে যৌন সংসর্গের ক্ষমতা নষ্ট করার বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। সম্প্রতি, দিল্লির এক বিচারকও এই ধরণের শাস্তিদানের পক্ষে সওয়াল করেন।