নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজ্যে রাজ্যে আওয়াজ তুলছে এসএফআই। চলছে স্লোগানও। কিন্তু বিরোধিতার নামে এবার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার অভিযোগ উঠল সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। কেরলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেঝেয় ছড়িয়ে রাখা হয়েছে মোদীর ছবি। তা মাড়িয়ে চলছেন ছাত্রছাত্রীরা। এটা কেমন প্রতিবাদ? উঠছে প্রশ্ন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় চলছে প্রচার। নিজস্ব কায়দায় গান, কবিতা বেঁধেছে এসএফআই। কিন্তু এর মধ্যেই বিতর্কে জড়াল কেরলের পিকে দাস কলেজের প্রতিবাদের ভাষায়। ওই কলেজের মেঝেয় ছড়িয়ে রয়েছে মোদীর মুখের ছবি। লেখা 'আরএসএস-বিজেপিকে নিষিদ্ধ করো'। সেই ছবির উপর দিয়ে চলছেন পড়ুয়ারা।  এহেন প্রতিবাদ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী তো নির্দিষ্ট কোনও দলের নয়, তিনি দেশের। তাছাড়া বিরোধী হলেই তাঁকে অসম্মান করা যায়? নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচারণ করছে বলে অভিযোগ এসএফআই-সহ বাম সংগঠনগুলির। প্রশ্ন উঠছে, এটা কি ভারতীয় সংস্কৃতি? 



পিছিয়ে নেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও। তাদের আবার জঞ্জাল ফেলার পাত্রে লেখা, আবর্জনার সঙ্গে এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ-কে ফেলে দিন এখানে।


      


এদিন আবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় কবির আশ্রয় নিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। টুইট করেছেন, "হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থে জাগোরে ধীরে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে"।




ওদিকে আবার স্লোগান বেঁধেছেন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সভাপতি ময়ূখ বিশ্বাস। তাতে রয়েছেন সিপিএমের প্রবাদপ্রতীম নেতারা। এসএফআই সদস্যরা স্লোগান তুলছেন, তেভাগা, তেলেঙ্গানা,  পুন্নাপ্রা ভ্রায়লার, জ্যোতি বসু, সুন্দরাইয়া, ইএমএস জিন্দাবাদ। অহল্যা, লক্ষী, গোদু তাই এসএফআই, এসএফআই, এসএফআই। 


আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব জট কাটাতে ৩ দফা শর্ত দিয়ে আরও বিভ্রান্তি বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক