নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। মঙ্গলবার বিলটি পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, বিলটি সাধারণ মানুষের জন্য সুরক্ষাকবচ। নাগরিকত্ব বিল পাশের আগে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিলটি পেশ করে রাজনাথ সিং বলেন, ''শুধুমাত্র অসমের জন্য এটা প্রযোজ্য নয়। সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য আইন কার্যকর করা হবে। নির্যাতিতদের বোঝা গোটা দেশ বহন করবে''। 


নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার ধর্মীয় ভেদাভেদ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা নেতারা। সেই্ অভিযোগ খণ্ডন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,''ভারত ছাড়া ওদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। গুজরাট, রাজস্থান, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্যের নির্যাতিতদের স্বস্তি দেবে এই আইন''।   


নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় মঙ্গলবার বনধ ডেকেছিলেন উত্তর-পূর্বের ছাত্র সংগঠনগুলি। এদিন অসমের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান ধর্মঘটীরা। রেল অবরোধও করা হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রভাব নাগরিকপঞ্জিতে পড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজনাথ সিং। তাঁর কথায়, ''অনুপ্রবেশকারীদের মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ করা হবে''।     


বিলের বিরোধিতা করে তৃণমূল দাবি করে, এটা ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত ছিল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন,''বিলের ছটি ধর্মের মধ্যে মুসলিমরা অন্তর্ভূক্ত নেই। এটা ধর্মনিরপেক্ষ করা উচিত। ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হলে সকলে শরণ দেওয়া উচিত ভারতের''।


আরও পড়ুন- হৃতিককে টুইট করে রাকেশের সুস্বাস্থ্যের কামনা করলেন নরেন্দ্র মোদী


নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬, অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে আসা আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও ক্রীশ্চানদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। বলে রাখি, পড়শি তিনটি দেশে ধর্মীয় কারণে সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, ক্রীশ্চানদের উপরে একাধিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। নতুন নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিণত হলে অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়া পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুরা নাগরিকত্ব পাবেন।