নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বৃহত্তর স্বার্থে' লড়াইয়ের পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের শেষ এ কথা নিজেই জানালেন তিনি। দিল্লি সফরে ইতিমধ্যেই বিজেপিকে চাঁছাছোলা ভাষায় সমালোচনা করেছেন মমতা। কিন্তু যে কারণে দিল্লি আসা, দ্বিতীয় দিনে তা অনেকটাই সফল বলে মনে করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- গভীর রাতে কেরলে স্টুডিওর মধ্যে কুপিয়ে খুন রেডিও জকি


আগামী লোকসভা এবং রাজ্যের নির্বাচনগুলিতে অ-বিজেপি জোট তৈরি করতে পুরো দায়িত্বই যেন কাঁধে তুলে নিয়েছেন মমতা। অন্তত এদিনের সাংবাদিক বৈঠকের পর এমনটাই স্পষ্ট হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিন সংসদে ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) ঘরে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেন মমতা।  বৈঠক শেষে তিনি জানান, ইতিবাচক কথা হয়েছে। তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি করতে অখিলেশ এবং মায়াবতীর জোটই মডেল হতে পারে বলেও জানান তিনি। মমতা বলেন, "অখিলেশ এবং মায়াবতী চাইলে আমরা সবাই তাঁদের নেতৃত্বে আলোচনায় বসতে পারি।" মমতার স্পষ্ট বক্তব্য, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তারাই নির্বাচনে লড়ুক। শিবসেনা, এআইএডিএমকে, টিডিপি, বিজেডি থেকে আরজেডি সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- পরবর্তী উপনির্বাচনে ভাতিজার সঙ্গে নেই বুয়া


এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করেন মমতা। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় শাসক দলের গড়িমসিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, সংসদে বিরোধীদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। এবার (বিজেপি-র) সময় এসেছে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যাওয়ার। ইতিমধ্যেই অনেক বিজেপি নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি। শত্রুঘ্ন সিন্হা, জশবন্ত সিন্হা, অরুণ সৌরির সঙ্গে আগামিকাল বৈঠক করবেন বলেও জানান মমতা।


তবে কংগ্রেস নিয়ে মমতার অবস্থানে এ দিনও ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসকে নিয়ে জোট করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সুকৌশলে এই বিষয়টি এড়িয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর অসুস্থতার কারণে এ বারে দেখা না হলেও শীঘ্রই সাক্ষাত্ করবেন। রাহুলও তাঁকে  এসএমএস করেন বলে জানান মমতা।


আরও পড়ুন- কর্ণাটকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকেই সবচেয়ে দুর্নীতিপারয়ণ বললেন অমিত শাহ


এ দিন সংসদে তৃণমূলের ঘরে শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, বিজেপি নেতা অনুভব মহান্তি, আরজেডি নেত্রী তথা লালু কন্যা মিসা ভারতি দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সাম্প্রদায়িক দল শিবসেনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস হাত মেলাবে কিনা সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ জবাব, শিবসেনার ক্ষেত্রে তাদের কোনও ছুঁতমার্গ নেই। মমতার কথায়, বিজেপিই 'বড় সাম্প্রদায়িক দল' আর কেউ নয়।