ভি কে-র টুইটে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি, পদত্যাগের দাবি কংগ্রেসের
পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানের পর বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংয়ের মন্তব্যে রাজধানী তোলপাড়। ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী , অস্বস্তিতে সরকার। মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে কংগ্রেস। বেকায়দায় পড়ে শেষপর্যন্ত পিছু হটেন ভি কে সিং।
ওয়েব ডেস্ক: পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানের পর বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংয়ের মন্তব্যে রাজধানী তোলপাড়। ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী , অস্বস্তিতে সরকার। মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে কংগ্রেস। বেকায়দায় পড়ে শেষপর্যন্ত পিছু হটেন ভি কে সিং।
#DISGUST
To sicken or fill with loathing
— Vijay Kumar Singh (@Gen_VKSingh) March 23, 2015
সোমবার পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে হুরিয়ত কনফারেন্স নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। রাতে হুরিয়ত নেতাদের উপস্থিতিতেই ওই অনুষ্ঠানে হাজির হন বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং। পরে টুইট করে ওই অনুষ্ঠানে যোগদান কর্তব্যপালন এবং বিরক্তিকর বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপরই শুরু হয় তোলপাড়। মঙ্গলবার খোঁচা দিয়ে পাল্টা টুইটে কংগ্রেস নেতা মনীশ তেওয়ারি লেখেন, এমন মন্তব্যের পর ভি কে সিংয়ের পদত্যাগ করা উচিত। বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর টুইট নিয়ে বিতর্ক দানা বাধায় ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী। সেকথা জানার পর ভি কে সিং পদত্যাগের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন বলে খবর। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শা। এই পরিস্থিতিতে ভিকে সিংয়ের ইস্তফা গ্রহণ করলে কংগ্রেস রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে যাবে বুঝেই শেষপর্যন্ত সে পথে আর হাঁটেননি প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় প্রাক্তন সেনাপ্রধানই শেষমেশ ঢোঁক গিলতে বাধ্য হন।
ভি কে সিং আরও বলেন, পাক জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নতুন ঘটনা নয়। প্রোটোকল মেনেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রীরা আগেও সেখানে গেছেন, ভবিষ্যতেও যাবেন।