নিজস্ব প্রতিবেদন: গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর দিল্লির এইমসে ভর্তি হওয়ার পর, সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। গত ছয় মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী সক্রিয় না থাকায় প্রশাসনিক অব্যবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। নতুন সরকার গড়ার প্রস্তাব এনে গোয়ার রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহার কাছে চিঠিও দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ছেলের মৃত্যুতে ঘরে ফিরতেই জঙ্গিদের হাতে খুন সেনা জওয়ান


গোয়ায় এই মুহূর্তে জোট সরকার ভাঙতে যেভাবে কংগ্রেস উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে সে রাজ্যে বিজেপির 'সংখ্যাগরিষ্ঠতা' নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোয়াতে এখন কংগ্রেসর ১৬ জন বিধায়ক। আর ম্যাজিক ফিগার ২১। এদিকে, বিজেপির ১৪টি বিধায়ক এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (৩), গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (৩), ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (১), নির্দল (৩) নিয়ে তৈরি হয়েছে মনোহর পর্রীকরের সরকার। তবে পর্রীকরের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ কে সামলাবেন, তা নিয়ে কন্দোল শুরু হয়েছে জোট সরকারের অন্দরে।


আরও পড়ুন- "পদ ছাড়তে চাই", পোপকে চিঠি ধর্ষণে অভিযুক্ত বিশপের


মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) সভাপতি দীপক দভলিকর জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে পর্রীকর অসুস্থ। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। তবে, রাজ্যের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবচেয়ে প্রবীণ বিধায়ককেই এই পদে বসানো উচিত। দভলিকরের দাবি অনুযায়ী, এমজিপি দলের বিধায়কই সেই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু অমিত শাহ জানিয়েছেন, পর্রীকরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। প্রশাসনের কাজকর্মের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবে দল। এমজিপির বার্তাকে আবার কটাক্ষ করেছে বিজেপি জোটের শরিক গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (জিএফপি)। জিএফপির প্রধান তথা কৃষিমন্ত্রী বিজয় সরদেশাইয়ের কটাক্ষ, এমজিপির ইচ্ছা মতো কোনও কিছু হবে না। জোট সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। সোমবার শরিক দলের সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছে বিজেপি। বৈঠক শেষে প্রবীণ বিজেপি নেতা রাম লাল বলেন, “গোয়া সরকার অটুট রয়েছে। নেতৃত্ব পরিবর্তনের কোনও দাবিই নেই জোট সরকারের অন্দরে।”


আরও পড়ুন- মাথা ব্যথা কমল! সুপ্রিম রায়ে নিষিদ্ধ তালিকার বাইরে স্যারিডন-সহ ৩ ওষুধ, জবাব তলব কেন্দ্রের


উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অগ্ন্যাশয়ে সংক্রমণে ভুগছেন তিন বারের গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। বেশ কিছু দিন আমেরিকায় তাঁর চিকিত্সা চলে। তবে, দেশে ফিরে শনিবার পর্রীকরকে দিল্লির এইমস ভর্তি করা হয়েছে। ২০১৭ সালে গোয়ার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও রাতারাতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে মনোহর পর্রীকরকে উড়িয়ে নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন অমিত শাহ। কারণ, জোট শরিক দল পর্রীকরকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পেলে তবেই সমর্থন জানাবে বলে জানিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে পর্রীকরের অনুপস্থিতির জেরে জোট সরকারের মধ্যে তৈরি অস্থিরতার সুযোগ নিতে তত্পর কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।