নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা অভিযোগ ওঠার পর তাঁর ইস্তফা দাবি করল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা জয়পাল রেড্ডি বলেন, ''এমজে আকবরকে সন্তোষজনক জবাব দিতে হবে। অথবা ইস্তফা দিন তিনি। আমরা তদন্ত দাবি করছি''।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার কংগ্রেসর মুখপাত্র মনীশ তিওয়ারি বলেছিলেন, ''ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। এনিয়ে মন্ত্রীর মুখ খোলা উচিত। এভাবে নীরব থেকে পালিয়ে যেতে পারেন না। ঘটনাটির তদন্ত করা দরকার। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াও শুনতেই চাই''।     


এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, যৌন হেনস্থার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। আপনি নিজেও একজন মহিলা। কোনও তদন্ত কি হবে? কোনও উত্তর না দিয়েই চলে যান সুষমা। 


এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপিও। দলের মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্র ব্যাখ্যা দেন, গুজরাটে হিন্দিভাষী শ্রমিকদের উপরে হামলার ঘটনায় কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসেছি। 


তবে অভিযোগকারিণীকেই পাল্টা কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি সাংসদ উদিত রাজ। তাঁর কথায়,''সাধারণত কোনও পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ২-৪ লক্ষ টাকা পান এক মহিলা। পরে অন্য পুরুষকে বেছে নেন''। #MeToo ক্যাম্পেনের অপব্যবহারের অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, মানছি, পুরুষদের এটা স্বভাব। কিন্তু মহিলারাও কি একেবারে নির্দোষ? অপব্যবহার কি হতে পারে না? এজন্য পুরুষদের জীবন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে''।                  


 তবে #MeToo ক্যাম্পেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন নারী ও শিশু অধিকার মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। তাঁর কথায়, ''প্রভাবশালী পুরুষরা প্রায়ই এটা করে থাকেন। সংবাদমাধ্যম, রাজনীতি অথবা কোম্পানি- সব জায়গাতেই এটা প্রযোজ্য। ভয়ে এব্যাপারে মুখ খুলতে চান না মহিলারা। তাঁরা ভাবেন, চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে অথবা তামাশার পাত্রী হতে পারেন''।    


রাজনীতিতে আসার আগে সাংবাদিকতা করতেন এমজে আকবর। এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, এশিয়ান এজ পত্রিকা. আকবর সম্পাদক থাকাকালে তাঁকে যৌন উত্পীড়ন করেছেন।


আরও পড়ুন- শরিকরা চাইলে প্রধানমন্ত্রী হব: রাহুল গান্ধী