শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ কংগ্রেসের মন্ত্রীর

ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের পোলোগ্রাউন্ডের শিবপুরী ময়দান।

Updated By: Feb 25, 2019, 01:36 PM IST
শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ কংগ্রেসের মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি অনুষ্ঠান। দর্শকাসনে তিলধারণের জায়গা নেই। মঞ্চেও উপস্থিত হেভিওয়েটরা। চারিদিকে হইচইয়ের শব্দ। কিন্তু আচমকাই বদলে গেল পরিস্থিতি। সর্বত্র একেবারে পিন ড্রপ সায়েলেন্স।

আরও পড়ুন: রামমন্দিরে পুজো দেওয়া আমার মৌলিক অধিকার, সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি সাংসদ

কারণ, এর ঠিক আগে সর্বসমক্ষে উঠে আসা একটি প্রশ্ন। প্রশ্নকত্রী একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সকলের সামনেই তিনি জানতে চাইলেন, মন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?

তার পরই সকলের মুখে কুলুপ। এ-ওর মুখ চাওয়াচাওয়িতে ব্যস্ত। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে উত্তর দিলেন মন্ত্রী। পরামর্শ দিলেন অন্য কোথাও গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করতে।

আরও পড়ুন: সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহৃত ঘাতক লাল গাড়ি, আত্মঘাতী জঙ্গির ছবি

ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের পোলোগ্রাউন্ডের শিবপুরী ময়দান। রবিবার সেখানেই আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সম্মেলনে। সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী ইমরতী দেবী।

কংগ্রেসের ওই মন্ত্রী সকলের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধে জানতে চাইছিলেন। আচমকাই একজন হাত তোলেন। জানতে চান, ''আপনি প্রশ্ন করছেন আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। কিন্তু আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?''

আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ অরুণাচল, উপজাতিদের স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি দানের প্রস্তাব বাতিল রাজ্য সরকারের

এই প্রশ্ন শুনেই চটে যান কংগ্রেসের ওই মন্ত্রী ইমরতী দেবী। তিনি বলেন, ''আপনার যদি মনে হয় সাম্মানিক কম দেওয়া হচ্ছে। তাহলে সরে যান। আমরা অন্যকে সুযোগ দেব। আপনি এই চাকরি ছেড়ে দিন। অন্য জায়গায় ভালো বেতনে কাজ করুন।''

মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের সরকার শপথ নেওয়ার পর মাত্র দুমাস কেটেছে। এর মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বিতর্কে জড়ালেন ইমরতী দেবী। এর আগে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল ২৬ জানুয়ারি। সেবারও সরকারি অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের কুলগামে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, শহিদ ১ পুলিস আধিকারিক, খতম ৩ জঙ্গি

২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বক্তৃতার বয়ান পড়তে পারেননি। প্রথম কয়েকটি লাইন পড়েই এগিয়ে দিয়েছিলেন জেলাশাসককে। বাকি বক্তৃতা জেলাশাসককে পড়তে বলেছিলেন।

তার পর থেকেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রবিবারের ঘটনা তারই প্রতিফলন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

.