নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে বড় ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে। দল ও বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক ডা আশা প্যাটেল। রাজ্যে কংগ্রেসে জায়ান্ট কিলার হিসেবে খ্যাতি রয়েছে আশার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৭ সালের ডিসেম্বরের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে উনঝা আসন থেকে আশা ধরাশায়ী করেছিলেন সাত বারের বিজেপি বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ প্যাটেলকে। নরেন্দ্র মোদীর শহর ভডনগর পড়ে আশার নির্বাচনী ক্ষেত্রে। ওই আসনটি হারিয়ে প্রবল ধাক্কা খায় বিজেপি।


আরও পড়ুন-চিন্তা বাড়ল পাকিস্তানের! এই প্রথম ভারতের হাতে চিনুক কপ্টার


কেন ইস্তফা? রাহুল গান্ধীকে পাঠানো তাঁর ইস্তফা পত্রে আশা লিখেছেন, নেতা হিসেবে তিনি ব্যর্থ। জাতপাতের নামে রাজনীতি করছে কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতা ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। দলে গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে। নেতারা এর সমাধান করতে পারছেন না। সাদারণ মানুষের সমস্যার দিকে কোনও নজর নেই দলের। এক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বও ব্যর্থ।


আশা প্যাটেল আরও লিখেছেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আর্থিকভাবে পিছিয়েপড়া মানুষদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে কংগ্রেস রাজ্যে এখনও জাতপাত ও ধর্মের নামে সমাজকে ভাগ করে চলেছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা অসম্ভব। দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। বিধায়ক হিসেবে কাজ করার কোনও অধিকার এখন আর আমার নেই। সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করতে পারছি না।


আরও পড়ুন-ঠাকুরনগরে মোদীর সভায় বিশৃঙ্খলার চূড়ান্ত, ১৪ মিনিটে ভাষণ শেষ প্রধানমন্ত্রীর


গান্ধীনগরে তাঁর বাসভবনে আশা সাংবাদিকদের বলেন, দলে আমার দম আটকে আসছিল। দলে কোনও কিছু ভালো হচ্ছে না। ভবিষ্যতে কী করব তা এখনও ঠিক করিনি। তবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না।


রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্র আশা প্যাটেল দলের অন্যতম মুখ গুজরাটে। জনসভা ও বিধানসভা, দুই জায়গাতেই বিজেপিকে নিশানা করতে তিনি সমান পারদর্শী। তবে সূত্রের খবর সম্প্রতি তিনি রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত।


এদিকে, রাজ্য কংগ্রেস সূত্রে খবর আশা ছাড়াও কংগ্রেসের এক ডজন নেতা রুপানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে অল্পেশ ঠাকুর, ধবলসিন জালা, ভরত ঠাকুর প্রমুখ। ফলে রাজ্যে কংগ্রেসের ঘর ভাঙার একটা জল্পনা রয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।