নিজস্ব প্রতিবেদন: মহাজোট গঠনে যিনি তদ্বির করেছিলেন, সেই চন্দ্রবাবু নাইডুর হাত ছাড়ল কংগ্রেস। অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি লোকসভা আসনে একা লড়ার কথা ঘোষণা করল রাহুল গান্ধীর দল। শুধু অন্ধ্রপ্রদেশই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যেও একার দমে নির্বাচন লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে হাইকম্যান্ড। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস নেতা উমেন চান্ডি ঘোষণা করেন, অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি লোকসভা আসন ও ১৭৫টি বিধানসভা আসনে একা লড়াই করবে কংগ্রেস। ফলে অন্ধ্রপ্রদেশে তেলগু দেশম পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে মহাজোট হচ্ছে না। বলে রাখি, বুধবারই এন চন্দ্রবাবুর নাইডুর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। 


তেলেঙ্গানায় বিধানসভা ভোটে চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে জোট করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে জোট। অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজনের বিপক্ষে সওয়াল করে গিয়েছেন নাইডু। ফলে তেলেঙ্গানায় তাঁর জনপ্রিয়তা নেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, নাইডুর সঙ্গে জোটে থাকলে অন্ধ্রপ্রদেশে যতখানি না লাভ হবে, তার চেয়ে বেশি তেলেঙ্গানায় লোকসান হবে কংগ্রেসের। আবার অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস অস্তিত্বহীন। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গেলে চন্দ্রবাবুর কোনও লাভ নেই। 
      
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ও  তেলেঙ্গানা থেকে কংগ্রেসের ভাঁড়ারে একটাও আসন আসেনি। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, অন্ধ্রপ্রদেশে টিডিপি-র বিকল্প হতে পারে তারা। সেক্ষেত্রে চন্দ্রবাবুর বিরোধী ভোট যেতে পারে তাদের ঝুলিতে। 


আরও পড়ুন- পুলিসি তোলাবাজির অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রশাসনে ভরসা সৌমিত্রর!


অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের দাবি না মানায় গতবছর বিজেপির উপর থেকে সমর্থন তুলে নেন চন্দ্রবাবু নাইডু। এরপর দিল্লিতে গিয়ে দেখা করেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করে গিয়েছেন নাইডু। মহাজোটের সলতে পাকানোয় বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনেকেই বলছেন, সাত মণ তেল পুড়ল, কিন্তু নাচল না রাধা।