Mamata in Cuttack: সত্যিটা যেন ধামা চাপা না দেওয়া হয়, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে সরব মমতা

Mamata in Cuttack:গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি কটক যাবেন এবং আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন। সেইমত আজ দুপুরেই কটক পৌঁছে যান মমতা এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সক দের সঙ্গে কথা বলেন, দুর্ঘটনায় আহতের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি

Updated By: Jun 6, 2023, 04:02 PM IST
Mamata in Cuttack: সত্যিটা যেন ধামা চাপা না দেওয়া হয়, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে সরব মমতা

পিয়ালি মিত্র: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে এরাজ্যেরও রয়েছেন ৫৭ জন। ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনেকে। ওই দুর্ঘটনায় রেল সিকিউরিটি বোর্ডের তদন্ত শেষের আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, সতিটা যেন বেরিয়ে আসে। তা যেন ধামাচাপা দিয়ে না দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন-সস্তা অস্ত্র, বাংলায় কবে বোমা ছিল না? সিপিএম আমলে ফাটত না! সরব অর্জুন

মঙ্গলবার কটকের এসপিডি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ওড়িশা সরকার যেভাবে কাজ করেছে তার জন্য ওড়িশা সরকারকে ধন্যবাদ। ইতিমদ্য়েই ওড়িশা সরকারকে একশো অ্যাম্বুল্য়ান্স দিয়ে সাহায্য করেছি। ডাক্তার, নার্সও পাঠানো হয়েছে। এখনওপর্যন্ত বাংলার ৫৭ জন মারা গিয়েছেন। ৯১ জন চিকিত্সাধীন। ৩১ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আহতদের কারও হাত, কারও পা কেটে গিয়েছে। তাদের পরিবারের লোকজনকে চাকরি দেব। যারা মারা গিয়েছেন তাদের ৫ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। 

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে কী বলবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে মমতা বলেন, নো কমেন্টস। আমি চাই সত্যিটা বেরিয়ে আসুক। সত্যিটা যেন চেপে দেওয়া না হয়। এত মানুষের মৃত্যু হল। এখন তর্কবিতর্ক করার সময় নয়। তাই সত্যি প্রকাশ পাওয়া প্রয়োজন। অনেকে বলছেন পরিযায়ী শ্রমিক। এরাও আমাদের অর্থনীতির জন্য কাজ করেন। বিহার থেকে মানুষ ওড়িশায় মানুষ যায়, ওড়িশা থেকে মানুষ রাজস্থান যায়। রাজস্থান থেকে বাংলায় আসে। অনেকে দক্ষিণের রাজ্যে যায়। অনেকে আবার দুবাই, আমেরিকাও যায়। পরিযায়ী শ্রমিক বলে কাউকে অসম্মান করা উচিত নয়।   

এদিন হেলিপ্যাড থেকে সড়ক পথে কটকের এসপিডি হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে ঢুকেই সার্জারি বিভাগে চলে যান মমতা। সেখানেই ভর্তি রয়েছেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহত বাংলার বেশ কয়েকজন। দুর্ঘটনার পর মোট ১৯৪ জনকে এই হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১৪৯ জন এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে আবার বাংলার ৫১ জন। 

গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি কটক যাবেন এবং আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন। সেইমত আজ দুপুরেই কটক পৌঁছে যান মমতা এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সক দের সঙ্গে কথা বলেন, দুর্ঘটনায় আহতের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। বাংলার আহত ৫১ জনের মধ্য়ে ৮ জন রয়েছেন আইসিইউতে। হাসপাতালের সার্জারি ছাড়াও আই ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টেও ভর্তি রয়েছেন কয়েকজন। যে সব চিকিত্সকের তত্ববধানে আহতরা ভর্তি হয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের আত্মীয়দের কাছে থেকে জানতে চান তাঁরা যদি তাহলে তাদের রাজ্য নিয়ে গিয়ে চিকিত্সার আশ্বাস দেন।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহতদের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটি বাচ্চা চেন্নাই যাচ্ছিল চিকিত্সার জন্য। সে যদি কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে চায় তাহলে তার ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যের ১২টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। আপনারা যারা স্বজনদের খোঁজ পেয়েছেন তাঁদের বলব কখনও আহতদের কাছে গিয়ে দুঃখ করবেন না। ভালো ভালো কথা বলবেন। মানে কাউন্সেলিং করা। জগন্নাথদেব সবাইকে ভালো রাখুন। যারা চলে গিয়েছেন তারা তো ফিরে আসবেন না। যারা বেঁচে রয়েছেন তারা সুস্থভাবে জীবনযাপন করুন এটাই চাইব।

ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শঙ্কর দাস। তাঁর স্ত্রী বলেন, ওর মালাইচাকি ভেঙে গিয়েছে। বাড়িতে ও একমাত্র রোজগেরে। শাশুড়ি অসুস্থ। ওর জন্য কিছু করুন। ওই গৃহবধূর কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাদের হাত-পা কেটে গিয়েছে বা অথর্ব হয়ে গিয়েছেন অর্থাত্ বেঁচে থেকেও যারা কাজ করতে পারবেন না তাদের পরিবারেও একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেব বলে ঠিক করেছি। বহু মহিলাও হোমগার্ডের চাকরি করেন। রেলের ক্যান্টিনে কাজ করতেন এক ব্য়ক্তির মেয়ে তাঁর বাবার কথা বলেন। তাকে আস্বস্ত করেন মমতা। আমরা ওড়িশা সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.